রাজধানীর পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরেও পুলিশ, র‌্যাব টহল দিচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি চোখে পড়ার মতো।

সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানী উত্তরা এলাকার দৃশ্য। ছবি: তাইয়্যিপ আহসান রাফান

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। বিশেষ করে দূরপাল্লার কোনো বাস চোখে পড়েনি। শুধু লোকাল বাসগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে। ওই এলাকায় অনাবিল, বলাকাসহ বিভিন্ন বাসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাসে ১০/১২জন করে যাত্রী বসে আছে।

সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকেও গুলিস্তানের গোলাপশাহ্ মাজার ও সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গুলিস্তান থেকে নরসিংদীগামী মেঘালয় ও বিআরটিসি পরিবহন, দক্ষিণবঙ্গগামী টুঙ্গিপাড়া পরিবহন, মধুমতি পরিবহন, ইমাদ এন্টারপ্রাইজ, বান্দুরা, মুন্সীগঞ্জ ও মাওয়াগামী বিভিন্ন পরিবহনের বাস একেবারেই কম।

বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া সব বাস থামিয়ে দেয়া হয়। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশুরা। অনেক নারীকে সন্তান কোলে নিয়ে অগত্যায় পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এছাড়াও উবার-পাঠাওসহ অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবাগুলো আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে রায় ঘিরে উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামা অফিসগামী যাত্রী ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নানা দুর্ভোগে পড়েছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তা আমির মোহাম্মদ খান উত্তরায় সকাল ১০টার অফিস ধরতে ভোর সাড়ে ৬টায় রামপুরা ব্রিজ এলাকা থেকে রওনা হন। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে গণপরিবহন সঙ্কট হতে পারে, এজন্য অনেক আগেই বাসা থেকে বের হয়েছি। অফিসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। টঙ্গীগামী বাসের অপেক্ষায় আছি, কিন্তু বাসের দেখা নেই।’

এদিকে মালিবাগ রেলগেইট এলাকায় বাসের অপেক্ষা করছিলেন অনেকে। উত্তরাগামী তুরাগ, অনাবিল, সালসাবিল ও রাইদা পরিবহনের যে বাসগুলো হালকা পরিসরে চলাচল করছে সেগুলো কানায় কানায় পূর্ণ।