নির্বাচন করতে পারবেন কি খালেদা, যা বললেন আইনমন্ত্রী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইতোমধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আপিল বিভাগ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন খালেদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে বলা আছে, নৈতিক স্খলনের জন্য যদি কারো যদি দুই বছরের বেশি সাজা হয় তাহলে তিনি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আবার সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের দুটি রায় আছে। যেখানে বলা হয়েছে, আপিল যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ হবে না ততোক্ষণ পর্যন্ত মামলা পূর্ণাঙ্গ স্থানে যাবে না। ফলে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও বেগম জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। অন্য একটি রায়ে আবার তিনি অংশ পারবেন না। কাজেই খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগ এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটি তাদের ব্যাপার।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এটা আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে না ঠিকই। কিন্তু পৃথিবীর কাছে আমরা বলতে পারবো, যারাই দুর্নীতি করে তাদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হয়।’

রায় পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু জানি, আজ বেগম জিয়াকে কারাগারে থাকতে হবে। মামলার সার্টিফাইড কপি হাতে পেলেই তাঁরা আপিল করতে পারবেন। সেই সঙ্গে জামিন আবেদনও করতে পারবেন। তবে ৬৩২ পৃষ্ঠার সুদীর্ঘ রায়ের কপি আজ পাওয়া সম্ভব নয়।’

দেশে আইনের শাসন আছে, অপরাধী যতো ক্ষমতাবানই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। সেটিই আজ প্রমাণ হলো উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রসঙ্গত, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় ১০ বছর এ মামলার কার্যক্রম চলার পর আজ রায় ঘোষণা হলো। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো ৩৫টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি দুর্নীতি সংক্রান্ত।