খালেদা জিয়ার জামিনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে রোববার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের প্রক্রিয়া রোববারই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও বেগম জিয়ার রায় নিয়ে ব্রিফিং করে বিএনপি।

খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জামিন পেতে হলে হাইকোর্টে যেতে হবে। যেহেতু শুক্র ও শনিবার কোর্ট বন্ধ থাকে। তাই আশা করছি আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে কাগজপত্র পাওয়া সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের সার্টিফাইড কপি পাওয়া না পাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিষয়গুলো আইনজীবীরা ভালো জানেন। দলের পক্ষ থেকে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তারা বলছেন, রোববার বা সোমবারের মধ্যেই এটাকে প্রোসেস করা সম্ভব।’

চেয়ারপারসনের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সবাই যা জানেন আমিও তাই জানি। উনাকে পুরোনো এবানডেন্ট সেন্ট্রাল জেলে সুপারের ঘরে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা অবশ্য ইতোমধ্যে দেখা করেছেন। তাদের সঙ্গে আমার এখনো কথা হয়নি। আশা করছি এবং প্রত্যাশা করছি, বেগম খালেদা জিয়া তিন-তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধী দলীয় নেত্রী, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতা তার প্রাপ্য অনুযায়ীই সবকিছু হয়তো পাবেন।’

ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, তিনি পুরো বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতা। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তার আছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে যেসব প্রচারণা চলছে তাতে আমরা শুধু লজ্জিত নই বা দুঃখিত নই। অবশ্যই আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি।’

নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছেন বেগম জিয়া, উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আপনারা শান্ত থাকুন, ধৈর্য হারাবেন না। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলতে থাকবে। বেগম জিয়ার অনুপস্থিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’