খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সূত্র বলছে, বৈঠকে দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দলকে সংগঠিত করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। বৈঠকে টেলিফোনে যোগ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

fakhrul in a meeting with senior leaders

বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, ‘শুনলে আপনারা বিস্মিত হবেন, ব্যথিত হবে সমগ্র জাতি, বেগম জিয়াকে এখন পর্যন্ত কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি। চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’ তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়ার দাবি জানান।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকটি শেষ হয় রাত নয়টায়। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে ফখরুল বলেন, ‘দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে সমগ্র দেশ আজকে ধিক্কার জানিয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। আমরা দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আর যেসব নেতাকর্মী বাধা, নিষেধ ও নির্যাতন উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রেখেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টেলিফোনে বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘সভা চলাকালীন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্য টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ-অবাধ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।’

খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘জেল কোডে ভঙ্গ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এখন পর্যন্ত কোন ডিভিশন দেয়া হয়নি। আমরা অবিলম্বে তাকে ডিভিশন দিয়ে তার যথাযথ মর্যাদা অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। এর ব্যতিক্রম ঘটলে জেল কোড ভঙ্গের জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।’

আজকের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

বৈঠকে আরো ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাব হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

বৈঠকে আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। বেগম জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আবদুল কাইয়ুম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, গোলাম আকবর খন্দকার, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার, আব্দুস সালাম, ফরহাদ হোসেন ডোনারসহ আরো অনেকে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.