প্রশ্নফাঁস তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ

এসএসসি ও এইচএসসিসহ সকল প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রিটকারী তিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মধ্যে অন্যতম আইনুন নাহার সিদ্দিকা।

এসএসসির অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলো বাতিল এবং নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে বুধবার হাইকোর্টে একটি রিট করেন তিন আইনজীবী। রিটে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত এবং ফাঁস রোধে আইন প্রণয়ন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদানেরও আবেদন জানানো হয়।

তখন রিটের বিষয়ে আইনুন্নাহার সিদ্দিকা বলেন, আমরা রিট আবেদনটি করেছি বুধবার। আজ সেটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় রয়েছে।

তিনি আরও জানান, রিট আবেদনেএবারে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে যেসব বিষয়ের প্রশ্নফাঁস হয়েছে সেগুলো বাতিল এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী আইনুন্নাহার বলেন, প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত এবং ফাঁস রোধে আইন মন্ত্রণালয় যেন একটি আইন প্রণয়ন করে সেই নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

প্রতিবছর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে আসলেও সব বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি বলে জানা যায়। কিন্তু এবার অভিযোগ উঠেছে, এসএসসির অনুষ্ঠিত সবগুলো পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছে। এমনকি এর সাথে উত্তরপত্রও পাওয়া গেছে কোথাও কোথাও।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সংঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র-শিক্ষকসহ অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নানা নিয়ম-কানুন জারি করলেও তা কোন কাজে আসছে না। এমন প্রেক্ষাপটে উচ্চ আদালতে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হলো।