ডি ভিলিয়ার্স-ঝড়ে লিড প্রোটিয়াদের

প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া প্রায় সমান তালে লড়াই করেছে। দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বসল স্বাগতিক শিবির। ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।

তার দুর্দান্ত ব্যাটিং দৃঢ়তায় দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে বিশ রানের ইনিংসে লিড নিয়েছে প্রোটিয়ারা। রোববার ৭ উইকেটে ২৬৩ রানে দিনের খেলা শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এর আগে শনিবার সকালে পোর্ট এলিজাবেথে এক উইকেটে ৩৯ রানে দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দিন বল হাতে আগুন ঝরানো কাগিসো রাবাদা বেশিদূর এগুতে পারেননি ব্যাট হাতে। দলীয় ৬৬ রানের দিনের প্রথম এবং প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান রাবাদা। ‘নাইটওয়াচম্যান’ খ্যাত এই ক্রিকেটার ফেরার আগে করেছেন ২৯ রান।

আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডিন এলগারের সঙ্গে হাশিম আমলার তৃতীয় উইকেট জুটিটা ম্যাচটাকে প্রায় নিষ্প্রাণ বানিয়ে তুলছিল। কিন্তু পরপর দুই ওভারে এ দুজনকে সাজঘরে পাঠিয়ে খেলা জমিয়ে তোলে অস্ট্রেলিয়া।

আদর্শ মেজাজে টেস্ট খেলা দুজনই আউট হওয়ার আগে তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। ১৯৭ বলে ৫৭ রানে ফিরেছেন এলগার। ১৪৮ বলের ইনিংসে ৫৬ রান করেছেন আমলা। দুজনই ইনিংসে ছয়টি করে চার হাঁকিয়েছেন।

দুই উইকেটে ১৫৫ থেকে ছয় উইকেটে ১৮৩ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। আধঘণ্টার মধ্যে একে একে বাইশ গজ ছাড়া হয়েছেন ফ্যাফ ডু প্লেসি, থিউনিস ডি ব্রুইনের ও কুইন্টন ডি কক। প্রথম দুজনই মিচেল মার্শের এলবির ফাঁদে পা দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। প্রথম ও শেষ জন করেছেন নয় রান। এক রান ডি ব্রুইনের।

হঠাৎই পথভ্রষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকা কক্ষপথে ফিরেছে ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। প্রায় ওয়ানডে মেজাজে টেস্ট ক্যারিয়ারের বাইশতম সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছেন তিনি। তৃতীয় দিন আর ২৬ রান করলে বাইশতম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যাবেন ডি ভিলিয়ার্স। শনিবার ৮১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১৪টি বাউন্ডারিতে ইনিংসটা সাজিয়েছেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান।

প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের পতন হওয়া উইকেটগুলো ভাগ করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সব বোলার। প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ দুটি করে উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড ও নাথান লায়নের শিকার একটি করে।