‘ব্যালটে’ নতুন নেতৃত্ব পেল কীর্তিনাশা

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কর্তিনাশা’র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হয়েছেন রুবেল হোসেন তুষার, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জিসান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জুয়েল রানা।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় সংগঠনটির সদস্যদের সরাসরি ভোটে নতুন এ নেতৃত্ব বাছাই করা হয়। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাইফুল ইসলাম খান ও সাংবাদিক সোহেল তানভীর। কমিশনের পক্ষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসার রিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন ও সাইদুর রহমান উজ্জ্বল, রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি লিপি আক্তার, কীর্তিনাশার বিদায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দোহা মৃধা।

সভাপতি পদে একজন মাত্র প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন রুবেল হোসেন তুষার। তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও ইতিহাস বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও যাচাই-বাচাইয়ে একজন বাদ পড়ে যান। বাকি দুই প্রার্থীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শতকরা ৮৭ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পড়েছে।

এর মধ্যে শতকরা ৭৪ দশমিক ২৮ ভাগ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান জিসান। জিসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক ছাত্র ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষার্বর্ষের শিক্ষার্থী।

(বা থেকে) রুবেল হোসেন তুষার, কামারুজ্জামান জিসান ও মো. জুয়েল রানা

এছাড়া সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন স্যার এ এফ রহমান হলের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোহাম্মাদ জুয়েল রানা। আগামী এক বছরের জন্য (২০১৮-১৯) নতুন এই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে বলে জানা গেছে।

শরীয়তপুর জেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পদ্মার অন্যতম শাখা নদী কীর্তিনাশার নামানুসারে এই সংগঠনটি যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘কীর্তিনাশা’ শরীয়তপুর জেলার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।