আপনি পড়ছেন

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে এই মুক্তিযোদ্ধা কী ভাবছেন? তাঁর ভাবনা সম্পর্কে জানতে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় এই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে।

major general helal morshed khan quota

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা, কোটার অনুপাত, চলমান তরুণদের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খানকে।

তিনি বলেন, ‘‘একটা সরকার যখন নির্বাচিত হয় তখন সে সরকার কিছু মেনিফেস্টো নিয়ে নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠেী তাদের এগিয়ে নেয়ার জন্য কিছু সুবিধা দেয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই যারা একটু সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তারা এটার ওপর দ্বিমত পোষণ করবে এবং যারা পিছিয়ে আছে তারা একটু আনন্দিত হবে।

সারা পৃথিবীতেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা হয়ে থাকে। একেক দেশে একেক জনগোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। আমাদের দেশে নারীরা অবশ্যই পিছিয়ে আছে, উপজাতিরা অবশ্যই পিছিয়ে আছে। আমাদের দেশে বিশেষ সুবিধা হল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। এখন সব দেশে তো মুক্তিযুদ্ধ এভাবে হয়নি। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের চলমান জীবনকে ছেদ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল নানা আশা নিয়ে।

সেই আশাগুলো তো পূরণ হয়নি বা মুক্তিযোদ্ধারা তাদের নিজেদের জীবনে তা পূরণ করেতে পারে নাই। শেখ হাসিনা দেখেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা অনেক বছর কিছু পায়নি, তাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাই তাদের ক্ষোভটাকে প্রশমিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য এই সুযোগ তিনি রেখেছেন। দেখলাম আকবর আলী খানও বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা এখন আর থাকার দরকার নাই। কিন্তু উনি নিজে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা ভোগ করেছেন।

তিনি দুই বছর সিনিয়রিটি পেয়েছেন। তিনি আমার সঙ্গে ওয়াশিংটনে পাশাপাশি বসে চাকরিও করেছেন। দুই তিন বার সুবিধাও নিয়েছেন এবং নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলতেন। এখন মন-টন খারাপ , কিছু পান-টান নাই, এটা ভাবছেন। উনি যদিও জীবনে অনেক কিছু পেয়েছেন। এখন উনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমি মনে করি, এটি সঠিক না। আর চেয়ারম্যান হিসেবে তো আমি অবশ্যই মনে করব কোটা থাকতে হবে।

তবে হ্যা, একটা সময় আসবে কোটার প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু এই মুহূর্তে না। মুক্তিযোদ্ধারা প্রায় ২২ থেকে ২৫ বছর কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান নাই। অর্থাৎ স্বাধীনতার ৪৭ বছরে অর্ধেক সময়ই তারা সুবিধা পান নাই। আমার মনে হয় এই সুবিধাটা কয়েক বছর চললে সামনে আর এটার প্রয়োজন হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা একটা ভাল অবস্থানে চলে গেলে তখন আর এসবের (কোটা) প্রয়োজন পড়বে না।

আমি আরেকটা বিষয় শুনেছি- ‘ভাই আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি। মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা দেন পয়সা দেন, জায়গা দেন, বাড়ি দেন, যা ইচ্ছে দেন কিন্তু এই কোটাটা উঠিয়ে দেন।’ আমি তখন একজনকে প্রশ্ন করলাম, ‘আপনার কী কোন ধারণা আছে আপনি কী বলছেন?’ এই কয়েকদিন হল মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার করে দিচ্ছেন এর আগে দিতেন ৩০০টাকা, তারপরে দিলেন পাঁচ হাজার টাকা করে।

আপনি কী মনে করেন? ‍মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আপনি এই টাকায় দিবেন? এক লাখ টাকা করে দেবেন? চার হাজার কোটি টাকা লাগবে বছরে, পারবেন? এটা তো সম্ভব না। এত টাকা তো মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া যাবে না। টাকা দিতে পারলে তো ভালই ছিল। কিন্তু এত টাকা তো দিতে পারবে না। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা যারা পাশ করছেন তাদের কোটা দিচ্ছেন। কিছুদিন পরে তারা হয়ত একটা সমতায় এসে যাবে।

আমি ধরে নিচ্ছি ২০ বছর তারা বঞ্চিত ছিল। তাই আরো ২০ বছর যাক না, তখন দেখা যাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দেয়া যায় কী না। আর মোট ৫৬% কোটা এটা থেকে কমিয়ে সমতায় আনা যেতে পারে। এটা ৫০% হতে পারে। পরিসংখ্যান এবং তথ্য উপাত্ত ঠিক মত দেখে কিছুটা কমানোর পক্ষপাতি আমি আছি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে না। ২০ বছরের আগে এটা (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) কমানো যাবে না।’’

আপনি আরও পড়ত পারেন:

‘নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটারও দরকার নেই’

‘মেধাবীকে বাদ দিয়ে কোটায় নাতি-নাতনি নেয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন’

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.