তরুণদের দিকে তাকিয়ে তামিম ইকবাল

গত কয়েক বছরে জাতীয় দলের যতো সাফল্য, তার বেশির ভাগই এসেছে দলের সিনিয়র সদস্যদের পারফর্মে ভর করে। সঙ্গে তরুণরাও উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করেছেন। কিন্তু তরুণদের পারফর্ম পূরণ করতে পারছে না প্রত্যাশা। তাদের ধারাবাহিকতার অভাব বাংলাদেশ দলের অন্যতম দুশ্চিন্তা। বাংলাদেশের এক নম্বর ওপেনার তামিম ইকবাল মনে করেন, তরুণরা যদি ধারাবাহিকতা দেখাতে শুরু করে, তাহলে বাংলাদেশের জন্য খুলে যাবে আরো বড় বড় জয়ের দুয়ার।

বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছে শ্রীলঙ্কায়, তিনজাতির নিদাহাস ট্রফিতে। সেখানে দলকে দরুণ স্মরণীয় দুটি জয় এনে দেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু দলের তরুণরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়েও তাদের নিষ্প্রভ হয়ে থাকা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে।

মঙ্গলবার ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার লড়াইয়ের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম ইকবাল। এ সময় তাকে তরুণদের পারফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তামিম ইকবাল বলেন, ‘তরুণরা যদি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে, যদি তাদের কাছ থেকে আরো বেশি অবদান পাওয়া যায়, তাহলে দলের জন্য বিষয়টা খুব ভালো হবে।’

‘আমি সব সময় দেখি, দলের তরুণ সদস্যরা অনেক বেশি পরিশ্রম করে। কখনো কখনো তাদের পরিশ্রম সিনিয়রদের চেয়েও বেশি। তারা শুধু ফলাফলটাই পাচ্ছে না। আমার বিশ্বাস, শিগগিরই তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল পেতে শুরু করবে। যদি সিনিয়রদের সঙ্গে তাদের পারফর্মও যোগ হয়, বাংলাদেশও বড় দল হয়ে দাঁড়াবে।’

ঢাকা লিগেও তরুণদের তুলনায় সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন বেশি সাবলিল। ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের এই নিষ্প্রভ থাকাটা নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার ব্যাপার। এ বিষয়ে তামিম ইকবাল বলেন, ‘ঢাকা লিগের এবারের উইকেট নাকি গত কয়েক বছরের তুলনায় ভালো ছিলো। সে হিসেবে তরুণরা যদি আরো পারফর্ম করতো, তাহলে ভালো হতো।’

‘তবে তরুণরা একেবারেই ভালো করেনি, বললে ভুল হবে। (এনামুল হক) বিজয় রান করেছে, (নাজমুল হোসেন) শান্তও রান পেয়েছে। তবে আরো ভালো করা উচিত ছিলো। আমি খুব বেশি খেলা দেখিনি। সুতরাং এ বিষয়ে খুব বেশি কথা না বলাই ভালো। জাতীয় দলে যে তরুণরা আছে, তারা সবই কঠোর পরিশ্রম করছে। আশা করি, তারা সামনে ফলাফল পেতে শুরু করবে।’