আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ, ২০ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া পুলিশ কনস্টেবলের লাশ ২০ ঘণ্টা পর পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুর ১টায় শাহিনুর রহমান শাহীন নামে ওই পুলিশ সদস্যের লাশটি জেলেদের বড় জালে আটকা পড়ে।

নিহত শাহিনুর ঢাকার আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সদর উপজেলার জয়নগর এলাকায় মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সালামকে ধরতে গিয়ে কালিগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। শাহিনুরের লাশ উদ্ধার হলেও ওই আসামির লাশ নদীতে রয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের কেজি ওয়ানে পড়ুয়া মুশফিকুর রহমান নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সদর থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শাহীন মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুস সালামের খোঁজে জয়নগর গ্রামে যায়।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সালাম বাড়ির পাশে কালিগঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেয়। কনস্টেবল শাহিন তাকে ধরার জন্য নিজেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। এসময় দু’জনই নিখোঁজ হয়।

অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের হদিস না মেলায় রাতে ঢাকার ডুবুরিদল আনা হয়। রাত ৩টা পর্যন্ত তল্লাশি করেও তাদের উদ্ধার করা যায়নি।

ওসি আরো জানান, সকাল ৯টায় আবারো ডুবুরিদল, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন নৌকা দিয়ে তাদের খোঁজা শুরু করে। দুপুর ১টায় জেলেদের বড় জালের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল শাহিনুরের লাশ উঠে আসে।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, রাতভর উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। সকাল থেকে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার ডুবুরিদল, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় জেলেদের এনে জাল দিয়ে খোঁজা হয়। দুপুর ১টায় জেলেদের জালে আটকা পড়ে কনস্টেবল শাহিনুরের দেহ।

দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে জেলা হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় জেলা পুলিশ লাইনসে নামাজে জানাযা শেষে শাহিনুরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।