বর্তমানে ক্লাব মৌসুমের একেবারে শেষ মুহূর্ত চলছে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এক ইতালিয়ান সিরি ‘এ’ ছাড়া অন্য লিগগুলোর শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেক আগেই। দুই তিনটি করে ম্যাচ বাকি আছে লিগগুলোতে। মৌসুমের এই শেষ ভাগে এসে দেখে নেওয়া যেতে পারে, এবার কারা ইউরোপ ফুটবলে আলো ছড়ালেন।

european golden shoe 2018

গত দশ-এগারো বছরের মতো স্বাভাবিকভাবে এবারও ক্লাব ফুটবলে রাজত্ব করেছেন দুই কিংবদন্তি লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর গোল সংখ্যা এবার অবশ্য বেশ কম। তার বড় কারণ ৩৩ বছর বয়সী রোনালদোকে সব ম্যাচ খেলার সুযোগ দেননি রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান। অন্যদিকে মেসি প্রায় সব ম্যাচই খেলেছেন, গোলও করেছেন মুড়িমুড়কির মতো। তবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা তালিকায় এমন কিছু নাম এসেছে যা রীতিমতো বিস্ময়। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ মিশরের মোহাম্মদ সালাহ।

মিশরের ২৫ বছর বয়সী তরুণ লিভারপুলের জার্সি গায়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। হ্যারি কেনও বিস্মিত করেছেন। ২৭টি লিগ গোল করেছেন কেন। আবার অনেক প্রত্যাশা থাকলেও নেইমার বেশ পিছিয়ে। চলতি মৌসুমে মাত্র ১৯টি লিগ গোল নেইমারের। অবশ্য ব্রাজিল তারকার পিছিয়ে পড়ার বড় কারণ ইনজুরি। ইনজুরির কারণে প্রায় আড়াই মাস যাবত মাঠের বাইরে নেইমার। চলুন তাহলে ইউরোপিয়ান লিগগুলোতে সেরা দশ গোলদাতার পারফরম্যান্স একনজরে দেখে নেওয়া যাক-

লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা): ২০১৫-১৬ মৌসুমে সেভাবে গোল করতে পারেননি লিওনেল মেসি। এর প্রধান কারণ ছিলো ইনজুরি। তবে গতবার গোলের বন্যা বাইয়ে দিয়েছিলেন। এবারও তার পুনরাবৃত্তি। লিগের ৩৪ ম্যাচ খেলে ৩৩ গোল করে এখন পর্যন্ত ইউরোপিয়ান লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ লিগ গোল মেসির। ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু হয়তো মেসির হাতেই উঠছে এবার।

মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল): মেসির পর দুই নম্বরে মোহাম্মদ সালাহর নামটা অনেক বিস্ময়ের। মৌসুম শুরুর আগে অনেকের চিন্তাতেও আসেনি যে এই তালিকার সেরা দশেও থাকতে পারেন সালাহ। গত মৌসুমে রোমার হয়ে ৩১ ম্যাচে সালাহ করেছিলেন ১৫ গোল। সেই সালাহ-ই লিভারপুলে এসে ৩৫ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ৩১! প্রিমিয়ার লিগে এখনো একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন সালাহ। ওই ম্যাচে দারুণ কিছু করে সালাহ যদি মেসিকে পেছনে ফেলে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতে নেন তাহলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

চিরো ইম্মোবিলে (লাজিও): এই নামটিও বেশ আশ্চর্য করার মতো। এক মৌসুম আগেও তাকে চিনত না তেমন কেউ। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ২৪ ম্যাচ খেলে চিরো লিগ গোল করেছিলেন মাত্র ৩টি। তারপরের দুই মৌসুমে তার গোল ছিল যথাক্রমে ২ ও ৫। গত মৌসুম থেকেই হঠাৎ পাল্টে গেছেন ইতালিয়ান তারকা। গত মৌসুমে লাজিওর হয়ে ইতালিয়ান সিরি ‘এ’তে গোল করেছিলেন ২৩টি। এবার ৩২ ম্যাচে এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ২৯ গোল!

রবার্ট লেভানডফস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ) : পোল্যান্ড তারকা অবশ্য অনেকদিন ধরেই বেশ ফর্মে আছেন। আগের দুই মৌসুমেই বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগায় গোল করেছেন ৩০টি করে। এবার ২৯ ম্যাচে করে ফেলেছেন ২৯ গোল।

এডিনসন কাভানি (পিএসজি): জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ ক্লাব ছেড়ে আসার পর থেকেই পিএসজির হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন এডিনসন কাভানি। উরুগুয়ান তারকা এবারও দুর্দান্ত খেলছেন। ফরাসি লিগ ওয়ানে পিএসজির হয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যে ২৮ গোল করেছেন কাভানি।

মাউরো ইকার্দি (ইন্টার মিলান): আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে বরাবর উপেক্ষিত হয়ে এসেছেন মাউরো ইকার্দি। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে অনেকদিন যাবত ধারাবাহিকভাবে গোল করে যাচ্ছেন। ইতালিয়ান সিরি ‘এ’ লিগে ইন্টারের হয়ে ৩২ ম্যাচ খেলে ইতোমধ্যেই ২৮ গোল করে ফেলেছেন ইকার্দি।

হ্যারি কেন (টটেনহাম): চলতি মৌসুমে টটেনহামের হয়ে ৩৪টি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলে ২৭ গোল করে ফেলেছেন হ্যারি কেন। এতে ইংলিশ তারকাকে নিয়ে টানাটানিও শুরু করে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাব।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ): ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় রোনালদো আট নম্বরে। মৌসুমের প্রথম দিকে বড্ডই গোলক্ষরাতে ভুগেছেন রোনালদো। তাছাড়া জিদান তাকে বেশি ম্যাচ খেলাননি। ২৬ ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করেছেন রোনালদো।

লুইস সুয়ারেজ (বার্সেলোনা): নেইমার ক্লাব ছাড়ার পর চলতি মৌসুমে সেভাবে গোল করতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ। ৩০ ম্যাচ খেলে লা লিগাতে ২৪ গোল করেছেন উরুগুয়ান তারকা।

পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস): অফ ফর্মের কারণে কিছুদিন আগে দল থেকে বাদই পড়েছিলেন পাওলো দিবালা। তবে মৌসুমের প্রথম ভাগে জুভেন্টাসের হয়ে ইতালিয়ান সিরি ‘এ’ লিগে বেশি কিছু গোল করেছেন। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২৭ ম্যাচে ২২ গোল করেছেন দিবালা।

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.