ত্বকের যত্নে ডিমের ব্যবহার

শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে ডিমের তুলনা নেই। ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। এছাড়া জিংক, ভিটামিন এ ডি, বি৬, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম ইত্যাদি তো আছেই। এজন্য দুর্বল শরীরের জন্য পথ্য হিসেবে ডিমই অনেকের প্রথম পছন্দ।

তবে নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম সৌন্দর্য চর্চায় আরও অনেক বেশি কার্যকরী। যাদের বয়সের ভারে চুল পড়ে যাচ্ছে কিংবা চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে, তাদের সমস্যার সমাধানের পথ দেখাতে পারে ডিম। চলুন দেখে নেই ডিমের অন্যান্য ব্যবহার।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে ডিমের বিকল্প নেই। ডিম ভেঙ্গে নিয়ে এর সাদা অংশটুকুর সাথে কয়েক চামচ মধু মেশান। তারপর শরীরের চামড়ার যেখানে বয়সের ছাপ পড়ে গেছে সেখানে লাগান। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এইভাবে দুইদিন ব্যবহারে আপনি পাবেন সুস্থ ও মসৃণ ত্বক।

অনেকেরই ত্বকের ওপরে মরা কোষের আস্তর জমে। এই আস্তর দূর করতে দারুণ হ্যাপা পোহাতে হয়। এই সমস্যা সমাধানে ডিমের খোসাকে কাজে লাগাতে পারেন। একটি ডিমের খোসা ব্লেন্ডারে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তারপর এর সাথে মধু ও লবণ মেশান। তারপর শরীরে যেখানে ত্বকের মরা কোষ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিন। অল্প দিনেই ত্বকের মরা কোষ দূর হয়ে যাবে।

সারাদিন ঘরের রান্নাবান্না ও পানির কাজ করতে করতে হাতের নখের বারোটা বেজে যায়। নখের ভঙ্গুরতা দূর করতে দুই টেবিল চামচ দুধের সাথে একটা ডিমের কুসুম খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ১০ মিনিট এই দুধে হাতের নখ ডুবিয়ে রাখুন। নখ হবে মজবুত ও মসৃণ।

চুলের ঘনত্ব বাড়াতে একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে একটি লেবু চিপে নিন। এরপর চামচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে মিশ্রণটিতে ফেনা তুলে ফেলুন। এবার এটি চুলের গোঁড়ায় ঘষে লাগান। আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করুন। চুল পড়া একেবারে কমে যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি নিয়ম

চুলের আগা ফাটা রোধ করুন

গলা ও মুখের কালচে দাগ দূর করুন