গয়েশ্বর: আওয়ামী লীগ ভোটেরও ধার ধারে না

জনগণ এবং ভোটারদের ওপর আওয়ামী লীগের আস্থা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ভোটেরও ধার ধারে না। ভোটাররা ভোট দিক আর না দিক, তাদের জিততেই হবে- এ ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আওয়ামী লীগ খুলনায় নির্বাচন করছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত দলীয় নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার, পুলিশের হয়রানি, ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক হামলা-মামলা, হুমকি-ধামকি এবং ধানের শীষের প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ এনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।

তিনি আরো বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন বন্ধ করে আদালতের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেছে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও (কেসিসি) একই ধরনের প্রক্রিয়া করে রেখেছে তারা। তবে, নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ দলীয় কর্মীদের ব্যবহার করে ফলাফল আয়ত্ত করতে পারলে বন্ধের প্রক্রিয়ায় যাবে না।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে বলেন, কেসিসি নির্বাচন পরিচালনায় রিটার্নিং অফিসারই হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। কিন্তু সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন একজন যুগ্ম সচিবকে খুলনায় পাঠিয়ে তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। এর মধ্য দিয়েই নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের উদ্ধৃতি দিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কেসিসি নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নেই বলে স্বীকার করেছেন এইচ টি ইমাম। তবে, তার বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য প্রযোজ্য না হলেও বিএনপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

খুলনার পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে কি না প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিয়ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, খবরদারি ও হয়রানি করছে। এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে অসংখ্য অভিযোগ দাখিল করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপি মনোনীত কেসিসির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বক্তব্য দেন।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, মশিউর রহমান, মো. শাজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, শ্যামা উবায়েদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।