ভয়ঙ্কর কালবৈশাখীর হানা, নীলফামারীতে নিহত ৭

ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাত জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জলঢাকা ও ডোমার উপজেলায় এ ঝড় আছড়ে পড়ে। দুই উপজেলার কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডোমার থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল জানান, ঝড়ের সময় গোলনাতি চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় গোয়াল ঘরে বাড়ির পোষা প্রাণীদের রক্ষা করতে গেলে মাটির দেয়াল ধসে পড়ে আব্দুল গনি (৪০) নামের একজন নিহত হন।

এছাড়া ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে বোগদাপুরি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে জামিলুর ইসলামের (১২) প্রাণ যায়। এসময় দেয়াল চাপায় উপজেলার পৃথক স্থানে ফাতেমা বেগম (৫৫) এবং আবুদর রহমান (৫০) নামের আরো দুইজন নিহত হন।

ঝড়ে জলঢাকা উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুর রহিম (৩৫) ও শওকত আলী (৪৭) দেয়াল চাপায় নিহত হন বলে জানান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এছাড়া ঝড়ে গাছ চাপায় উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের তফিজউদ্দিনের ছেলে আলম (৩৫) নিহত হন।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক খালেদ রহিম জানানা, কালবৈশাখী ঝড়ে জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার করা হবে। তিনি শুক্রবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।

এদিকে দমকলকর্মী ও স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে বড় বড় গাছ ভেঙে বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ সরানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তবে এখনো বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কালবৈশাখীতে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভুট্টা, বাদাম ও মরিচ ক্ষেতেরও ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমী ফল আম, লিচু ঝড়ে নষ্ট হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ইউএনবি।