পানি সংগ্রহে সরকারের তিন মেগা প্রকল্প

নগরবাসীকে পানি সরবারহের জন্য ভূ-উপরিস্থ উৎসের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে সরকার। এ জন্য ঢাকা ওয়াসা হাতে নিয়েছে তিনটি মেগা প্রকল্প। ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার মোট সরবারহের ৭০ ভাগ পানি ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে সংগ্রহ করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের প্রশ্নত্তোর পর্বে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।

সংসদে মন্ত্রী বলেন, 'স্থানীয় সরকারের অধীনে ঢাকা ওয়াসার ৪টি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে মোট উৎপাদনের শতকার ২২ভাগ এবং ৭০৮টি গভীর নলকূপের মাধ্যমে ৭৮ভাগ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে। ভূ-গর্ভস্থ উৎস থেকে পানি উত্তোলন পরিবেশ বান্ধব নয় ।' মন্ত্রী জানান, এ কারণে ভূ-উপরিস্থ উৎসের দিকেও অগ্রসর হচ্ছে সরকার।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'এ তিনটির প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা (জশলদিয়া) পানি শোধনাগার হতে দৈনিক ৪৫কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে, এ প্রকল্প শেষ হবে ২০১৮সালের মধ্যে। ঢাকা এনভায়রনমেন্টালী সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের আওতায় মেঘনা নদী থেকে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবারহ করা হবে।'

তিনি জানান, এ প্রকল্প শেষ হবে আগামী ২০১৯ সালে। সায়েদাবাদ পানি শোধানাগার প্রকল্প ফেজ-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে মেঘনা নদী থেকে আরো ৫০কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। এ প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এই তিনটি প্রকল্প সামনে রেখেই চলছে কাজ।

এ ছাড়া কর্ণফুলী নদী থেকে প্রতিদিন ১৪৩ মিলিয়ন লিটার পানি সরবারহের জন্য কাজ করছে জাইকা। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। 

আপনি আরো পড়তে পারেন

বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঘড়ির মালিক এখন বাংলাদেশ!

ওমরাহর নামে মানব পাচারের অভিযোগ