আপনি পড়ছেন

বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেদের অন্তত একজন কোরআনে হাফেজ হবে। এজন্য ছেলে নেকমেদিন বুশিকে কোরআন শিক্ষার স্কুলে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু মাঝপথে ওই স্কুল ছেড়ে দেন নেকমেদিন। তার আর হাফেজ হওয়া হয়নি। এখন বাবার সেই স্বপ্ন পূরণে নিজের দোকানে কোরআন শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন পেশায় স্বর্ণকার নেকমেদিন।

goldsmith teaches the holy Quran

নেকমেদিন মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কপজেতে নিজের দোকানে এই কোরআন শিক্ষার কেন্দ্র চালু করেছেন। সেখানে কোরআন শিখতে আসে ৭ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৫৯ বছরের বৃদ্ধও। দিন দিন তার শিক্ষার্থী বাড়ছে। এটাকে নিজের দ্বিতীয় পেশা মনে করেন নেকমেদিন।

আনাদোলু এজেন্সিকে নেকমেদিন বলেন, কারিগর পরিবারেই তার জন্ম। তার বাবা, চাচা এবং ভাই সবাই কারিগর।

এই স্বর্ণকার বলেন, তিনি হাফেজ হতে পারেননি। মাঝপথেই স্কপজের আলাকা মসজিদের কোরআন শিক্ষা ক্লাস ত্যাগ করেছিলেন তিনি। তার বাবা চেয়েছিলেন অন্তত একজন ছেলে যাতে কোরআনে হাফেজ হয়।

নেকমেদিন মনে করেন, কোরআন শিক্ষা দেয়াটা তার শিক্ষায় যারা বিনিয়োগ করেছেন, তাদের ঋণ শোধ করার মতো। তাই যারা তার কাছে আসেন, তাদের কোরআন শিক্ষা দেন তিনি।

এই স্বর্ণকার বলেন, প্রতিবছর তার শিক্ষার্থী বাড়ছে। সাত, আট ও নয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৫৯ বছর বয়সী বৃদ্ধও তার কাছে পড়তে আসে। গত ২৫ বছরে তিনি ৫০ জনকে কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন।

তিনি একটি ঘটনা বললেন। এক ব্যক্তি তার দোকানে এসে দেখলেন ৩৫ থেকে ৪০ জন কোরআন পড়ছেন। তখন তিনি মন খারাপ করলেন। কেন তার মন খারাপ হলো জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি বলেন, সবাই কোরআন পড়তে জানে কিন্তু তিনি জানেন না।

নেকমেদিন বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে, গত বছর থেকে আমি তাকে কোরআন শেখাতে শুরু করি। এ বছর তিনি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। রাজনীতি, খেলোয়াড় এবং দোকানদারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তার কাছে কোরআন শিখতে আসে বলে জানান তিনি।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর