ম্যানইউতে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফ্রেড

২০১৪ বিশ্বকাপের পর হারিয়ে গেছেন ফ্রেড। তাকে হয়তো ভুলেও গেছেন অনেকে। কিন্তু এক ফ্রেড হারিয়ে গেলেও বিশ্ব ফুটবলে জন্ম হয়েছে আরেক ফ্রেডের। তিনিও ব্রাজিলিয়ান। পুরো নাম ফেডেরিকো রদ্রিগেজ সান্তোস।

২৫ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে আগামী মৌসুমে দেখা যাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মঙ্গলবার শাখতার দানেৎস্কর কাছ থেকে এই ব্রাজিলিয়ানকে কিনে নিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অংকটা ৪৭ মিলিয়ন পাউন্ডের। খবর বিবিসির।

নতুন মৌসুমের জন্য এটা রেড ডেভিলসদের প্রথম চুক্তি। ফ্রেডের ওপর অনেক দিন ধরেই চোখ রেখেছিলেন ইউনাইটেড কোচ হোসে মরিনহো। অবশেষে ইউক্রেনিয়ান ক্লাব থেকে তাকে ইংলিশ ফুটবলে ভেড়াতে যাচ্ছেন পর্তুগিজ কোচ।

শুধু মাঝমাঠই নয়, শক্তিশালী রক্ষণভাগ নিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করতে চায় ইংলিশ জায়ান্টরা। সেলক্ষ্যে ১৯ বছর বয়সী পোর্তো ডিফেন্ডার ডিয়োগো ডালোতকে কিনতে যাচ্ছে রেড ডেভিলসরা। দু’ একদিনের মধ্যেই তার সঙ্গে ১৭.৪ মিলিয়ন পাউন্ডের চুক্তি সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘হেক্সা মিশনে’ (ষষ্ঠ শিরোপা) ফ্রেডকে রেখেছেন ব্রাজিল কোচ টিটে। রোববার অ্যানফিল্ডে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও তাকে খেলিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান কোচ। টিটের বিশ্বাস- আগামী বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়াবেন ফ্রেড।

ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে জন্ম নেওয়া ফ্রেডের ফুটবলে হাতেখড়ি হয়েছিল অ্যাটলেটিকো মিনিইরোর হয়ে। তবে ২০১১ সালে ইন্টারন্যাশিওনালের জার্সিতে পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন এই মিডফিল্ডার। ২০১৩ সালে সেখান থেকে তাকে ইউরোপিয়ান ফুটবলে উড়িয়ে নেয় শাখতার দানেৎস্ক।

ইউক্রেনিয়ান ক্লাবের হয়ে দ্যুতি ছড়ানোর পুরস্কার হিসেবে ২০১৫ সালে কোপা আমেরিকা ব্রাজিল দলে ডাক পান ফ্রেড। সেলেকাওদের হয়ে এ পর্যন্ত ৮টি ম্যাচও খেলা হয়েছে তার। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি তিনি।

পাঁচ বছরের ইউক্রেন ফুটবল অধ্যায়ে শাখতার দানেৎস্কর হয়ে ১০১ ম্যাচে ১০টি গোল করেছেন ফ্রেড। কিন্তু গোল করা নয়, গোলের জোগান দেওয়াটাই তার মূল কাজ। তবে গোলে সহায়তা করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের জালের ঠিকানা খুঁজে নেওয়ার অভ্যাসটাও তার আছে।

শাখতারের হয়ে পাঁচ মৌসুমের ক্যারিয়ারে তিনটি লিগ শিরোপা জিতেছেন ফ্রেড। তিনটি ইউক্রেনিয়ান কাপ জয়ের পাশাপাশি এই ব্রাজিলিয়ানের নামের পাশে যুক্ত হয়েছে চারটি ইউক্রেনিয়ান সুপার কাপ। সবমিলিয়ে ক্লাবকে দশটি শিরোপা উপহার দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমাচ্ছেন ফ্রেড।

অবশ্য স্বর্ণালি ক্যারিয়ারের পাশাপাশি একটা বিতর্কও আছে তাকে ঘিরে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকের বছরেই ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে নির্বাসনটা ছিল শুধু জাতীয় দলের জন্য। কারণ ফ্রেডকে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন কনমেবল।