পুলিশের বাসায় চুরি করা তার নেশা

ভারতের মুম্বাইয়ের জিটিবি নগরের বাসিন্দা কমলজিৎ সিং। ২০ বছর বয়সী এই তরুণের ব্যতিক্রমী এক নেশা। পেশায় চোর হলেও তার লক্ষ্যবস্তু ছিল ভিন্ন রকমের। সে চুরি করে বেড়াতো পুলিশের বাসায়!

সর্বশেষ কালাচৌকি পুলিশ কোয়ার্টারে দুই কনস্টেবলের বাসায় চুরি করতে গিয়ে গত সপ্তাহে ধরা পড়ে কমলজিৎ। চুরি শেষে চলে যাওয়ার সময় তিন কনস্টেবল ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কালাচৌকি থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর দিলিপ উগলে বলেন, 'বুধবার ভোররাতে দুই কনস্টেবলের বাসায় ঢুকে পড়ে কমলজিৎ। দুই কনস্টেবলের একজন বিজয় বিনি। তার বাসা থেকে ৬০ গ্রাম অলঙ্কার আর ২,৮০০ রুপি হাতিয়ে নেয় চোর।'

এরপর নিচ তলায় কনস্টেবল রাগিনি জাগডালের বাসায় ঢুকে কমলজিৎ। অনেক খোঁজাখুজি করে তার বাসায় তেমন কিছু পায়নি সে। এরপর বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটা ধরে কমলজিৎ।

কিন্তু যখন কনস্টেবল জাগডালের বাসার তালা ভাঙছিল সে, তখন পাশের বাসার একজন তাকে দেখে ফেলেন। তখন তৃতীয় তলায় থাকা কনস্টেবল যশবন্ত রসমকে খবর দেন তিনি। রসম যখন নিচে নামছিলেন তখন তৃতীয় তলায় থাকা তার ভাই বিজয়ও বিষয়টি টের পান।

বিজয় তখন রসমকে জানান, তিনি নীল শার্ট পরিহিত একজনকে দেখতে পেয়েছেন। দুজনেই তাকে খুঁজতে থাকেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরেক কনস্টেবল সন্তোষ। তারা শেষ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী কটন গ্রিন রেলস্টেশনে গিয়ে কমলজিৎকে ধরে ফেলেন। তাকে ৯ জুন ওয়াদালা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ওয়াদালা থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর পরশুরাম বলেন, আমরা সন্দেহভাজনকে আটক করেছি। সে আরও দুটি অপরাধের সন্দেহভাজন। ছোট থাকতেই সে শহরে এ ধরনের বেশ কয়েকটি অপরাধে জড়ায়।

পুলিশ জানায়, কমলজিৎ মনে করতো পুলিশের বাসা বলে সেখানে নিরাপত্তা তেমন বেশি থাকার কথা নয়। কারণ, ভয়ে সেখানে কেউ চুরি বা অপরাধমূলক কিছু করতে যাবে না এটাই সবার ধারণা। আর সে এটার সুযোগ নিতো।

কমলজিৎ কমপক্ষে ১৫ পুলিশ সদস্যের বাসায় চুরি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধ এক ব্যবসায়ীর ৫৯ হাজার রুপি চুরির অভিযোগও রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তার বোনও একজন মাদক ব্যবসায়ী।