ওয়ানডেতে ৪৮১ রান, ইংল্যান্ডের বিশ্বরেকর্ড

নিজেদের ৪৪৪ রানের রেকর্ডটাই নতুন করে লিখলো ইংল্যান্ড। নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশরা ৪৮১ রানের পাহাড় গড়েছে। যা ওয়ানডের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের নতুন বিশ্বরেকর্ড। এই রেকর্ড গড়ার পথে অসি বোলারদের উপর রীতিমত ঝড়ো তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে ইংলিশরা।

সিরিজের আগের দুই ম্যাচ হারা অসিরা এই ম্যাচ দিয়ে সিরিজে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলো। ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে তাদের স্বপ্নটা আর থাকার কথা নয়! দুই ম্যাচ হাতে রেখে এই ম্যাচেই যদি অসিরা সিরিজ না হারে, সেটা হবে মহাবিস্ময়কর এক ঘটনা।

ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম জুটিতেই ১৫৯ রান তুলে ফেলে ইংলিশরা। সেটাও ২০ ওভারের আগে! জুটিটা ভাঙায় হয়তো স্বস্তি পেয়েছিলেন টিম পেইনরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। পরের জুটিতে ইংল্যান্ড তুলে ১৫১ রান। জ্যাসন রয় ৮২ রান করে আউট হয়ে গেলেও, পরের দুজন, জনি বেয়ারস্টো ও অ্যালেক্স হেলস ফেরেন সেঞ্চুরি করে।

জনির ব্যাট থেকে আসে ১৩৯ রান আর হেলস করেন ১৪৭ রান। এ দুজনের স্ট্রাইকরেট যথাক্রমে ১৫১ ও ১৫৯-এর বেশি! অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের উপর ইংলিশদের ‘অত্যাচার’ এখানেই শেষ হয়নি। পাঁচ নম্বরে নামা ইয়ন মরগান করেন ৩০ বলে ৬৭ রান। ২০০-এর উপরে স্ট্রাইকরেট নিয়ে তিনি যদি আরো কিছুক্ষণ ব্যাটিং করতেন, ওয়ানডে ক্রিকেট হয়তো প্রথমবার ৫০০ রানের ইনিংস দেখতো।

৪৫ ওভারে ৪৩৬ রান করা ইংল্যান্ড শেষ পাঁচ ওভারে তুলে ‘মাত্র’ ৪৫ রান। শেষ পাঁচ ওভারে তারা হারায় তিন উইকেট। এতোগুলো উইকেট না গেলে শেষ পাঁচ ওভারে নিশ্চয় ৫০০ রানের ঘরটা ছুঁয়ে ফেলতো পারতো ইংলিশরা। সেটা না হওয়ায় নিশ্চয় আফসোস হচ্ছে তাদের!

অসি বোলারদের মধ্যে এ দিন সবচেয়ে ‘কম’ খরুচে ছিলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। তিনি ১০ ওভারে দেন ৭০ রান। আর সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন আইপিএল মাতানো অ্যান্ড্রু টাই। তিনি ৯ ওভারে দেন পাক্কা ১০০ রান। ওভার প্রতি নয়ের কম রান দিয়েছেন মাত্র দুজন। একজন তো অ্যাস্টন অ্যাগার, অন্যজন অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি অবশ্য ওভার করেছেন মাত্র একটি।

প্রথম ইনিংস অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে বোধহয় একমাত্র অধিনায়ক টিম পেইনই একটু খুশি ছিলেন, কারণ এই ম্যাচে যে তার বোলিং করতে হয়নি! উইকেটকিপার হওয়ার নানা সুবিধা নিশ্চয় তিনি পান, এই ম্যাচেও একটা সুবিধা তিনি পেলেন!