ঈদ যাত্রায় সড়কে ঝড়ল ৩১ প্রাণ, আহত ১০৪

দেশের সাতটি জেলা গাইবান্ধা, রংপুর, নাটোর, গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর ও ঢাকায় শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে শনিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ১০৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গাইবান্ধায় ১৬, রংপুরে ৬, ঢাকার সাভারে ১ এবং নাটোর, গোপালগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও ফরিদপুরে দুজন করে নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর অনুযায়ী, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার গরুহাটিতে গাছের সাথে বাসের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

পলাশবাড়ী থানার ওসি আখতারুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হন। বাকি আটজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

এদিকে রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় দুই নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ হেল বাকি জানান, বালুবোঝাই একটি ট্রাক বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাসকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত ও পাঁচজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলো-নিশাদ (২০) এবং সাজ্জাদ (১৯)।

নাটোর জেলা শহরের আলিয়াপুরে একটি বালুবোঝাই ট্রাক ইজিবাইককে ধাক্কা দিলে দুজন নিহত এবং তিনজন আহত হন। সকাল ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নাটোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন-সুলতা নাসি দেবনাথ এবং কানাইলাল দেবনাথ। তারা নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদরের গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের ঘোনাপাড়ায় সকাল পৌনে ৮টায় বাসচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। সদর থানার এসআই সাখাওয়াত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কালিকাপুরে সকাল সাড়ে ৬টায় বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন। হাঁটিকুমড়ুল হাইওয়ে পুলিশের ওসি আব্দুল কাদের জিলানি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে শনিবার সকাল ৭টায় ঢাকার সাভারের আমিন বাজার এলাকায় রংপুর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতি পরিবহনের একটি নৈশ কোচ পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে ৪ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

সাভার মডেল থানার আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই জামাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তি নিহত হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি বলে জানায় পুলিশ।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী তুহিন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন । এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। তাদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাষ্টার সাইফুজ্জামান জানান, আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি যায়নি। তাদের লাশ ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। ইউএনবি।