ফুটবল ম্যাচ নাকি নাটকের মঞ্চ...

রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচ খেলতে মুখোমুখি হয়েছে পানামা ও ইংল্যান্ড। তথ্যটা সত্য, তবে রসিক ব্যক্তিরা এই কথাতে আপত্তি তুলতে পারে! তারা বলতেই পারে, এটা ফুটবল ম্যাচ নাকি নাটকের মঞ্চ! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে যেভাবে খেলল পানামা সেটাকে কি আর ফুটবল বলা চলে।

প্রথমার্ধে পানামার জালে পাঁচ গোল দিল ইংল্যান্ড। একটা ফুটবল ম্যাচে এটা হতেই পারে। কিন্তু পানামার গোল হজম করার ঘটনাগুলো মোটেও ফুটবলীয় নয়। প্রথমার্ধে ৪১ শতাংশ বলের দখল ছিল পানামার দখলে। অপর দিকে ৫৯ শতাংশ ইংল্যান্ড। পরিসংখ্যান বলছে বল দখলে পানামার চেয়ে খুব বেশি এগিয়ে ছিল না ইংল্যান্ড।

মাঠের খেলাতেও দেখা গেল বলের দখল ধরে রাখতে চেয়ে মাঝে মধ্যেই আক্রমণে উঠছে পানামা। কিন্তু ইংল্যান্ডের গোলবার লক্ষ্যে প্রথমার্ধে তিনটা শটও নিল তারা। কিন্তু ইংল্যান্ড যখন আক্রমণে উঠছিল তখন পানামা ডিফেন্ডারদের ঘাড়ে কোন ভূত চাপছিল কে জানে।

একের পর এক শিশুসুলভ ভুল করতে দেখা গেল। নিজেদের ডি-বক্সের ভেতর ইংলিশদের ‘খেলতে’ দিয়ে যেন খেলা উপভোগ করতে ব্যস্ত পানামা। ইংল্যান্ডের পাঁচ গোলের মধ্যে দুটিই পেনাল্টি থেকে। এই দুটি পেনাল্টি ছিল আরও হাস্যকর।

ম্যাচের ২২ মিনিটের সময় ইংলিশ স্ট্রাইকার লিনগার্ড ডি-বক্সের ভেতরে লম্বা পাস পান। তখন তার সামনেই ছিলেন দুই পানামা ডিফেন্ডার। অমন পরিস্থিতিতে গোল করারা দূরহ কঠিন যে কারো জন্যই। কিন্তু তারপরও অযথাই লিনগার্ডকে ফেলে দিতে গেলেন পানামা ডিফেন্ডার, পেনাল্টি। রেফারির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি পানামা ফুটবলাররা। যার জন্যে হ্যারি কেনের পেনাল্টি নিতেই লাগল মিনিট তিনেক মতো!

দ্বিতীয় পেনাল্টিটা ছিল আরও হাস্যকর। ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকা হ্যারি কেনের জার্সি ধরে টেনে হেঁচড়ে ফেলে দেওয়া হলো। কিন্তু ইংলিশ তারকার কাছে তখন বলই নাই! আবারও পেনান্টি আবার হ্যারি কেনের গোল। বাকি তিন গোলের দুটিও হলো ডিফেন্ডের ভুলে।

প্রথমার্ধ পর্যন্ত ম্যাচের ফল ৫-০। ইংল্যান্ডের হয়ে অপর তিন গোলের দুটি করেছেন স্টোনেস একটি লিনগার্ড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে অতীতে পুরো ম্যাচেও কখনো এতো গোল করতে পারেনি ইংল্যান্ড।