আপনি পড়ছেন

কুরবানি মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি এক ধরনের পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় সফলভাবে উৎরে যাওয়ার মাধ্যমে বান্দা তাঁর উপাসকের নৈকট্য অর্জন করে। কুরবানি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হয়। এর প্রতিদানও আল্লাহ নিজ হাতে দান করেন।

eid ul azha

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর নিকট তাদের গোশত এবং রক্ত পৌঁছায় না, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদের।’ (সূরা হজ, আয়াত নং ৩৭)

মূলত আল্লাহ তায়ালা কুরবানির পশু, এর মূল্য, মাংস ইত্যাদির দিকে লক্ষ্য করেন না। বরং বান্দা কতোটুকু ত্যাগ স্বীকার করে তাঁর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে সেটাই আল্লাহর কাছে বিবেচ্য বিষয়। হাদীসে আছে,

আয়েশা (র.) থেকে বর্ণিত, হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘কুরবানির দিন আদম সন্তান এমন কোন কাজ করতে পারে না যা মহামহিম আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত (কুরবানি) করার তুলনায় অধিক পছন্দনীয় হতে পারে। কুরবানির পশুগুলো কিয়ামতের দিন এদের শিং, খুর ও পশমসহ উপস্থিত হবে। কুরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই (কুরবানি) মহান আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌছে যায়। অতএব তোমরা আনন্দ সহকারে কুরবানি করো। তিরমিযী শরীফ, হাদিস নং ১৪৯৩।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর