আরেফিন সিদ্দিক: বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্রের সঙ্গে খাপ খায় না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সম্প্রতি বাইরের মানুষ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। আলাপচারিতায় ছিলেন এম.এস.আই খান।

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স এখন ৯৮ বছর। এটি একটি উন্মুক্ত ক্যাম্পাস। এখানে ছেলে-মেয়েরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করবে, বাইরের ছেলে-মেয়েরা আসবে, বিভিন্ন শ্রেণি গোষ্ঠীর মানুষ আসবে। সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত থাকবে, এই চরিত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। হঠাৎ করে বহিরাগতদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, এটা কী কারণে করা হল? কীভাবে এটা প্রয়োগ করা হবে? সেটা বুঝতে পারছি না।’

এক সময় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এই শিক্ষক বলেন, ‘বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শহরের একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ শহরের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাতায়াত করে। পাবলিক কতগুলো সড়ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিয়ে গেছে। এসব সড়ক দিয়ে তো মানুষজন যাতায়াত করবেই। কেউ পায়ে হেঁটে যাবে, কেউ বাসে যাবে, সে ভাবেই যাচ্ছিল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আরেফিন বলেন, ‘সার্বিকভাবেই আমি বুঝতে অপরাগ যে, বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচরণ ও ঘোরাফেরা নিষিদ্ধ করার বিষয়টা কীভাবে প্রয়োগ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হয়ত জানাবে, কীভাবে এটা প্রয়োগ করবে। তবে এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এতদিনকার যে চরিত্র সেটার সঙ্গে খাপ খায় না।’

শিক্ষার্থীদের কার্যক্রমকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের ‘মত’ বলে বর্তমান ২৮তম উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান যে মন্তব্য করেছেন সে বিষয়ে সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। এর পিছনে যদি কোন প্রমাণ থাকে, সে প্রমাণ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো এটাই এখনকার দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা, এটা তথ্য প্রমাণ ছাড়া তো করা সম্ভব না। তথ্য প্রমাণগুলো যদি থাকে সেটা প্রদান করা এখন দায়িত্ব।’