অতীত হয়ে যাচ্ছেন শ্রিনিবাসন

এন শ্রিনিবাসন অতীত হয়ে যাচ্ছেন ক্রিকেটাঙ্গন থেকে। ভারতীয় বোর্ডের আশির্বাদ পেয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। এবার সেই পদটাও হারাতে চলেছেন তিনি। এর আগেই অবশ্য ভারতীয় বোর্ডেও অঘোষিত অবাঞ্ছিত হয়ে গেছেন শ্রিনি। এবার পুরোপুরিভাবেই ক্রিকেট থেকে ছিটকে পড়ছেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনের জন্য নিশ্চয় দারুণ সুখবর এটি।

জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর নতুন সভাপতি নিয়োগ দিচ্ছে বিসিসিআই। বোর্ডে মোট ভোট সংখ্যা ৩১টি। সেখান থেকে অর্ধেক বা এর চেয়ে বেশি ভোট প্রয়োজন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য। এতো দিন পর্যন্ত ২২- ২৩টি ভোট নিজের দিকেই ঝুঁকিয়ে রেখেছিলেন শ্রিনি। কিন্তু ডালমিয়া দ্বিতীয় দফায় বোর্ড প্রধান হয়ে শ্রিনি-পন্থীদের বিতাড়িত করেন। তারপরও শ্রিনি-প্রভাব-মুক্ত হতে পারেনি বিসিসিআই। অসমাপ্ত সেই কাজটাই এবার করে দিতে চলেছেন নতুন সভাপতি।

বিতর্কিত ভূমিকার জন্য নানা কারণে খোদ ভারতেই তুমুল সমালোচনার পাত্র ছিলেন শ্রিনি। আইপিএল দুর্নীতিতেও তার নাম ছিলো সারির প্রথম দিকে। এরপর আইসিসির চেয়ারম্যান পদ দখল করেও বিশ্বজুড়ে চালাতে শুরু করেছিলেন নিজের অবৈধ কার্যক্রম। তার উদ্যোগের কারণেই প্রায় ধ্বংসের মুখে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

পুরো বাংলাদেশ তার বিপক্ষে চলে যায় ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে। আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বকাপের ট্রফি দেয়ার কথা ছিলো আহম মোস্তফা কামালের। কিন্তু অবৈধভাবে তার এই অধিকার হরণ করেন শ্রিনি। নিয়ম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেন তিনি। যা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলো পুরো বিশ্ব। এমনকি ট্রফি দেয়ার সময় মেলবোর্নের গ্যালারি থেকে শ্রিনির দিকে ধেয়ে এসেছিলো দুয়োধ্বনি।

এ দিকে ভারতীয় বোর্ডের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। এটি তার দ্বিতীয় দফায় সুযোগ পাওয়া। পেশায় আইনজীবি শশাঙ্ক খেলাধুলায় দুর্নীতির বিপক্ষে প্রচুর কাজ করেছেন। ফলে তাকে নিয়ে নতুন করে নতুন কিছুর স্বপ্নে বিভোর ভারতীয় বোর্ড। নতুন করে দায়িত্ব পেয়েই বিসিসিআইকে পুরোপুরি শ্রিনি-মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ জন্য সময় চেয়েছেন দুই মাস। শশাঙ্ক মনোহর স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, দুই মাস পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তিনি। তখন যদি কেউ অভিযোগ করতে পারেন যে, ভারতীয় বোর্ডে দুর্নীতি থাকে, তবে তিনি অভিযোগকারীর পরামর্শ মেনে নিবেন।

ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন আইসিসিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে আর খুব বেশি দিন থাকার সুযোগ পাবেন না শ্রিনিবাসন। শিগগিরই তাকে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব থেকে সরিয়ে দিবে বিসিসিআই। ফলে নিয়ম অনুযায়ী আর আইসিসির চেয়ারম্যানের পদও বাগিয়ে রাখতে পারবেন না তিনি। ফলে ক্রিকেট থেকে আপাতত দূরে সরেই থাকতে হবে তাকে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

উঠে আসছেন মোসাদ্দেক

ভারতকে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত জয়

আফগানিস্তানের কোচ হলেন ইনজামাম