শেষ ওভারের নাটকীয় জয়ে ফিরে এলো শ্রীলঙ্কা

অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর ওয়ানডেতে হারের বৃত্ত ভাঙল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর অবশেষে স্বস্তির জয়ে ফিরল লঙ্কানরা। বুধবার ক্যান্ডিতে ডি/এল পদ্ধতিতে প্রোটিয়াদের তিন রানে হারিয়েছে স্বাগতিক শিবির। নাটকীয় এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ব্যবধান কমিয়ে ৩-১-এ নিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। আগামী রোববার কলম্বোতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে আট রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। হাতে অক্ষত ছিল দুই উইকেট। ডেভিড মিলার উইকেটে ছিলেন বিধায় জয়ের আশায় ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু সুরঙ্গ লাকমলের দুর্দান্ত ওভারটায় সমীকরণ মেলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে এক উইকেট খুইয়ে সফরকারীরা নিতে পারল মাত্র চার রান।

বৃষ্টিভেজা ম্যাচে নির্ধারিত ৩৯ ওভারে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সাত উইকেটে ৩০৬ রানের পাহাড় গড়ে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ২১ ওভারে লঙ্কানরা পুঁজি হিসেবে পায় ১৯০ রান। জবাব দিতে নেমে নয় উইকেটে ১৮৭ রান পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

অবশ্য শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়ের একক নায়ক কেউ নন। বেশ কয়েক জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল হিসেবে দলীয় সংগ্রহ তিন শ ছাড়িয়েছে লঙ্কানরা। তিনটি অর্ধশতক ও দুটি মাঝারি মানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে স্কোর বোর্ডে শক্তিশালী সংগ্রহ জমা করেছে স্বাগতিক শিবির।

দুই ওপেনার নিরোশান ডিকভেলা ৩৪ এবং উপুল থারাঙ্গা করেছেন ৩৬ রান। তবে ঝড় তুলেছেন তিন হাফ সেঞ্চুরিয়ান। ৩২ বলে ৫১ রান করেছেন কুশল পেরেরা (৬টি চার, ২টি ছক্কা)। ৩৪ বলে ৬৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন দাসুন সানাকা (৪টি চার, ৫টি ছক্কা)। ৪৫ বলে তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন থিসারা পেরেরা।

ওয়ানডে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যালেঞ্জ পেল টি-টোয়েন্টির। ২১ ওভারের ইনিংসের শুরুতেই তাই ব্যাট হাতে ঝড় তোলে প্রোটিয়ারা। কিন্তু দ্রুত গতিতে রান তুলতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে হয়েছে তাদের। অর্ধশতকের আশা জাগিয়েও ফিরে গেছেন হাশিম আমলা (২৩ বলে ৪০) ও জেপি ডুমিনি (২৩ বলে ৩৮)।

বাকিদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ও ওপেনার কুইন্টন ডি কক (২৩), হেনরিচ ক্লাসেন (১৭), ডেভিড মিলার (২১), কেশব মাহারাজ (১৭) উল্লেখযোগ্য রান করেছেন। প্রোটিয়াদের পতন হওয়া নয় উইকেটের তিনটি শিকার করেছেন পেসার লাকমল। থিসারা পেরেরা নিয়েছেন দুই উইকেট। ধনঞ্জয়া ও সানাকার শিকার একটি করে। ব্যাট-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্যের কারণে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সানাকা।