এশিয়া কাপ নিয়ে আশাবাদী ইমরুল

আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে আরব আমিরাতে বসছে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর। যেখানে অন্যতম ফেভারিট হিসেবে আছে বাংলাদেশও। এক দিন পরই মহাদেশীয় ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের আসর সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করবেন মাশরাফি বিন মর্তুজারা। থাকবেন ইমরুল কায়েসও। এক সময় জাতীয় দলের দ্বিতীয় সেরা ওপেনার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা ইমরুল এশিয়া কাপে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী। যদিও তার সুযোগ খুব বেশি নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এশিয়া কাপ সামনে রেখে প্রাথমিক দলের অনুশীলনের এক দিন আগেই ইমরুল কায়েস এলেন বিসিবিতে। এ সময় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন টুর্নামেন্টে জাতীয় দলে থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণই করলেন তিনি।

ইমরুল বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে থাকলেও কোনো ম্যাচে সুযোগ পাইনি। যদিও আমি প্রস্তুত ছিলাম। এখনো প্রস্তুত আছি। যখনই জাতীয় দলে সুযোগ পাবো, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা খেলতে।'

তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী কে হবেন, দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়টি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টের এক নম্বর দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে আছে। ইমরুল কায়েসকে বারবার তামিমের সঙ্গী হিসেবে সুযোগ দেয়া হলেও টেস্ট ছাড়া অন্য দুই ফরম্যাটে তিনি তাল মেলাতে পারেননি। অন্য যারা সুযোগ পেয়েছেন, তারাও মেটাতে পারেননি প্রত্যাশা। ফলে আবার সুযোগ আসতে পারে ইমরুলের সামনে।

কিন্তু সুযোগ পেলেই শুধু হবে না; ইমরুল মনে করেন দীর্ঘদিন একটা পজিশনে খেলার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল ভালো কিছু করা সম্ভব। তিনি বলেন, 'একটানা লম্বা একটা সময় যদি নির্দিষ্ট একটা ফরম্যাটে খেলা যায়, তাহলেই কেবল ভালো কিছু করা সম্ভব। পজিশন পরিবর্তন হলে আবার শুরু থেকে শুরু করতে হয়। যা একজন ক্রিকেটারের জন্য খুব একটা সুখকর বিষয় নয়।'

তামিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ওপেন করে টেস্টে স্মরণীয় কিছু কীর্তি আছে ইমরুলের। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'তামিমের সাথে আমার জুটি জমে। ইতোপূর্বে আমরা দারুণ কিছু জুটি গড়েছি। যা অনেক বড় ছিলো। আবার যদি আমরা সুযোগ পাই, চেষ্টা করবো আরো বড় কিছু করতে।'

১০ বছর ধরে জাতীয় দলে খেললেও ইমরুল নিজেকে দলের অপরিহার্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। এ জন্য তার পজিশন নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায় যেমন আছে, তেমনি আছে তার ব্যাটিং দুর্বলতার দায়ও।

ইমরুল বলেন, 'একজন খেলোয়াড়ের নানা দুর্বলতা থাকে। আমারও আছি। আমি চেষ্টা করছি তা কাটিয়ে উঠতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফেরার পর অনুশীলনের মধ্যেই ছিলাম। এর মধ্যে ইনজুরির জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। এখন আবার অনুশীলন শুরু করবো। সব সময়ই চেষ্টা থাকে নিজেকে আরো বেশি উন্নত করার। এখনো আছে।'

ইমরুল কায়েস এখন পর্যন্ত ৩৪টি টেস্ট, ৭০টি ওয়ানডে এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ১৮টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তার। এবার যদি সুযোগ না পান, তবে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারই হয়তো হুমকির মুখে পড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।