ইমরুল-মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের দারুন দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৪৯ রান করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজারা। অর্থাৎ ম্যাচটি জিততে আফগানিস্তানকে ওভারপ্রতি পাঁচ রান করে নিতে হবে।

আবুধাবির উইকেট যেরকম তাতে ২৩০ থেকে ২৫০ রান চ্যালেঞ্জিং স্কোর। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও ২৪৯ রান করার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা খুশি হতেই পারেন।

বাংলাদেশকে এ রকম সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে আসার পথে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৮ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। ৮৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তারা এ জুটি গড়েন। নিশ্চিত বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের এ রকম কিছুরই দরকার ছিলো।

শতরানের জুটি গড়ার পথে ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের ২০ তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গে দারুণ সাড়া দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। গতকাল রাতে ঢাকা থেকে হঠাৎ করে আরব আমিরাতে উড়িয়ে নেয়া হয় ইমরুলকে। তখনো তিনি কেমন পারফর্ম করবেন তা নিয়ে সংশয় ছিলো। কিন্তু সেই সংশয় উড়িয়ে দিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনিও।

এশিয়া কাপে আগের তিন ম্যাচের মতো, আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববারের ম্যাচেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে। এই ম্যাচেও বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন লিটন দাস ও তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুটা ভালো করলেও নাজমুল হোসেন তার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি আউট হয়ে যান মাত্র ৭ রান করে।

এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। আসরের প্রথম দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করলেও পরের তিন ম্যাচে তিনি হতাশ করলেন। মিঠুন মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন এরপর নামা শাকিব আল হাসান কোন রানই করতে পারেননি। অদ্ভুতভাবে ফিল্ডারের হাতে সোজা বল মেরে রান নেয়ার জন্য দৌড়ান তিনি এবং রান আউট হয়ে বিদায় নেন।

এরপর উইকেটে নামেন ইমরুল কায়েস। দারুণ খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এই জুটি ভালো একটি ফলাফল নিয়ে আসার আগেই ইমরুল কায়েসের ভুলে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় মুশফিকুর রহিমকে। এভাবে মাত্র ৮৭ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৫ উইকেটে পতন হয় এবং চোখ রাঙানি দিতে থাকে আরও একটি ব্যাটিং ব্যর্থতা। এ রকম খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ১২৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে বাঁচান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস।

মাহমুদুল্লাহ ৭৪ বিদায় নিলেও ইমরুল কায়েস ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন। এ দুজনের ব্যাটিং মূলত বাংলাদেশকে এনে দেয় স্বস্তি পাওয়ার মত পুঁজি। এখন দেখা যাক বোলাররা এই পুঁজি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে দারুণ কিছু উপহার দিতে পারেন কিনা।