আবারও এক সাথে আমির আসিফ সালমান বাট

২০১০ সালের আগস্টের যন্ত্রণা হয়তো কোনো দিনই ভুলতে পারবে না পাকিস্তান ক্রিকেট। পাকিস্তান ক্রিকেটের কেউ কেউ হয়তো ২০১০ সালের আগস্ট মাসকে 'ভয়ঙ্কর আগস্ট ' হিসেবেও ডাকেন! মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাট মিলে শুধু কলঙ্কিত করা নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটকে খাদের কিনারায় নামিয়েছিলেন তো সেই মাসেই। 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে বাজিকরদের কথায় ইচ্ছাকৃত নো বল করেছিলেন পাকিস্তানের আমির ও আসিফ। অধিনায়ক সালমান বাট ছিলেন ঘটনার মূলে। লর্ডস টেস্ট শুরু হয়েছিল আগস্টের ২৬ তারিখ, চার দিনের মাথায় ইনিংস ব্যবধানে হেরে যায় পাকিস্তান। টেস্টের চতুর্থ দিনই ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড কলঙ্কিত এই ঘটনাটি ফাঁস করে দেয় দুনিয়ার সামনে।

তারপর আমির, আসিফ ও সালমান বাটকে যতোটা ভুগতে হয়েছে তার চেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটকে। বিশ্ব দরবারে পাকিস্তানের ক্রিকেট ইমেজ মুখ থুবড়ে পড়েছিল। পাকিস্তানের বহু ক্রিকেটারকে 'প্রতারক' বলে অপমানিত হতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে আরো কতো গ্লানি। 

ঘটনায় সালমান বাটকে আড়াই বছর, মোহাম্মদ আসিফকে এক বছর এবং মোহাম্মদ আমিরকে ছয় মাসের জেল দেওয়া হয়। এবং সালমান বাটকে দশ বছর, মোহাম্মদ আসিফকে সাত বছর এবং মোহাম্মদ আমিরকে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। আপিলের পর অবশ্য নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কেমেছে। আর সেই মেয়াদ উর্তীন্ন হয়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনজনই।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মোহাম্মদ আমির পাকিস্তানের জাতীয় দলে খেলেছেন দীর্ঘ দিন ধরে। সম্প্রতি বল হাতে ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না আমিরের। ফলে বাদ পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ থেকে। বাদ পড়া আমির এখন খেলছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ কায়েদ-ই-আজম ট্রফি। সেখানেই দেখা হয়ে গেল তার 'অপরাধ জগতের' দুই সঙ্গীর সঙ্গে!

সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানির হয়ে খেলছেন আমির। সুই সাউর্দান গ্যাস তাদের সর্বশেষ ম্যাচ খেলল ওয়াটার এ্যান্ড পাওয়ার ডেভলপম্যান্টের বিপক্ষে। আর এই দলের হয়ে আগে থেকেই খেলে আসছেন সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। সালমান বাট আবার অধিনায়কত্ব করছেন ওয়াটার এ্যান্ড পাওয়ার ডেভলপম্যান্টের হয়ে।

ম্যাচে আসিফ ও সালমান বাট খুব একটা আলো ছড়াতে না পারলেও 'প্রতিপক্ষ' আমির কিন্তু ভালো বোলিংই করেছেন। প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার বোলিং করে ৪টি মেডেনসহ ৩১ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়ার পর বোলিং করতে নেমেই তিন উইকেট। আমির অফ ফর্ম কাটানোর রাস্তায় ঠিক ভাবেই এগুচ্ছেন!