আবার মনোবিদের শরণ নিচ্ছেন মাশরাফিরা

কদিন আগে নিউজিল্যান্ডের নারী দলের ক্রিকেটার সুজি বেটস ক্রিকেটকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বাজে খেলা বলে মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ৩১ বছর বয়সী সুজির কথাটা যে একেবারে ফেলনা নয়, তা স্বীকার করেছেন অনেকেই। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর আবার মাশরাফি-মুশফিকদের জন্য একজন মনোবিদ নিয়োগ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও কি সত্যটা স্বীকার করে নিলো?

হ্যা, আসলেই বাংলাদেশ দলে একজন মনোবিদ যোগ দিয়েছেন। আলি আজাদ নামের বাঙালি এই মনোবিদ শিগগিরই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিবেন। আপাতত ছয় থেকে সাতদিনের জন্য মাশরাফিদের সাথে কাজ করবেন তিনি। প্রয়োজন পড়লে আবার দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন এই মনোবিদ।

এর আগে, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সময়ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একজন মনোবিদ ছিলেন। তার কাজ ছিলো বড় মঞ্চে ক্রিকেটারদের মনোজগতকে স্থির রাখা। যাতে বিশ্বকাপের ম্যাচের উত্তাপে তারা গলে না যান বা তারা যাতে কঠিন চাপের পরিস্থিতিও সামাল দিতে পারেন সহজাত দক্ষতায়।

রোববার নতুন একজন মনোবিদের যোগদান সম্পর্কে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘একজন মনোবিদ বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি ১৭ তারিখে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন। আপাতত ছয় সাত দিন কাজ করবেন তিনি। তবে সামনে আবার আসতে পারেন।’

হঠাৎ কেনো বাংলাদেশ দলের একজন মনোবিদের দরকার পড়লো? এই প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। উত্তরটা পাওয়া কি খুব কঠিন? নয়, নিশ্চয়! চলতি বছরই বাংলাদেশ দল তিন তিনটি ফাইনাল হেরেছে। প্রথমটি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, পরেরটি শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে এবং সর্বশেষটি কদিন আগে হয়ে যওয়া এশিয়া কাপে, ভারতের বিপক্ষে।

একটার পর একটা ফাইনাল হারের পর এ কথা মনে স্বাভাবিক যে, ফাইনালের উত্তাপটার সঙ্গে মাশরাফিরা মানিয়ে নিতে পারছেন না। একজন মনোবিদ এলে নিশ্চয় এ বিষয়ে এমন কোনো টোটকা দিতে পারবেন, তা মেনে চলে হয়তো মাশরাফিরা পেয়ে যাবেন ট্রফি জয়ের স্বাদ। এই স্বপ্ন ও সম্ভাবনার বিষয়টি চিন্তা করেই একজন মনোবিদ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।