বিপিএল দল পর্যালোচনা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। এই আয়োজন থেকে আসরের সাত দল তাদের স্কোয়াড চূড়ান্ত করেছে। প্লেয়ার ড্রাফটের আগে গত আসরের দল থেকে চারজন করে খেলোয়াড় রেখে দেয়ার সুযোগ পেয়েছে প্রতিটি দল। এ ছাড়া দুজন করে বিদেশি ক্রিকেটারকেও সরাসরি কেনার সুযোগ পেয়েছে দলগুলো।

রেখে দেয়া ক্রিকেটার, সরাসরি চুক্তি ও প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে নেয়া খেলোয়াড়; এভাবেই স্কোয়াড গুছিয়েছে প্রতিটি দল। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের আসরের জন্য গড়া দলগুলো কেমন হয়েছে, তা নিয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের ধারাবাহিক আয়োজনের এই পর্বে থাকছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কথা।

২০১৫ সালে বিপিএলে অভিষেক হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এবং প্রথম আসরেই বাজিমাত করে তারা। মাশরাফি বিন মর্তুজার জাদুকরি অধিনায়কত্বে কম বাজেটের একটা দল জিতে নেয় বিপিএল শিরোপা। এরপরের দুই আসরে তাদের সাফল্য সেভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু নয়, তারপরও সাবেক চ্যাম্পিয়নরা এবারের বিপিএলে থাকবে হট ফেভারিট।

এবারের বিপিএলে কুমিল্লা খেলবে তাদের দেশি ক্রিকেটারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে। সঙ্গে থাকবে দুর্দান্ত কয়েকজন বিদেশিও। কুমিল্লা তাদের গত আসরের দল থেকে রেখে দিয়েছে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও শোয়েব মালিককে। অর্থাৎ গত আসরের মাত্র একজন বিদেশিকে রেখেছে দলটি। এদের সঙ্গে বিদেশি হিসেবে যোগ দিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, এভিন লুইস ও আফগানিস্তানের অখ্যাত তরুণ স্পিনার ওয়াকার সালামখেল। দুজনকে বিদেশিকে সরাসরি দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা, তারা হলেন লিয়ান ডসন ও আসেলা গুনারত্নে।

প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে যে বিদেশিদের দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা, তাদের মধ্যে ওয়াকার ছাড়া বাকি সবাই বিপিএল খেলেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে বাংলাদেশের মাটিতে তারা কতোটা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন তিনি।

প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে মোট নয়জন বাংলাদেশিকে দলে ভিড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, তারা হলেন- আবু হায়দার রনি, এনামুল হক বিজয়, মেহেদি হাসান, জিয়াউর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোহাম্মদ শহিদ, সামসুর রহমান শুভ ও সঞ্জিত সাহা।

এদের মধ্যে আবু হায়দার রনি ও এনামুল হক বিজয় পরীক্ষিত পারফর্মার। রনি কুমিল্লার প্রথম শিরোপাজয়ী দলের সদস্য। আর এনামুলও বিপিএলে নিজেকে নানা সময়ে প্রমাণ করেছেন এবং হয়ে উঠেছেন আরো অভিজ্ঞ এক ব্যাটসম্যান।

এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে ক্রিকেটার নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে কুমিল্লা। রংপুর বা সিলেট হয়তো এবি ডি ভিলিয়ার্স বা ডেভিড ওয়ার্নারকে আনতে বিপুল অর্থ করেছে, কিন্তু ড্রাফটে তাদের চেয়ে বেশি খরচ করেছে ভিক্টোরিয়ান্স।

কুমিল্লার বিদেশি সংগ্রহ: শোয়েব মালি, আসেলা গুনারত্নে, লিয়াম ডসন, শহিদ আফ্রিদি, থিসারা পেরেরা, এভিন লুইস, ওয়াকার ওয়াকার সালামখেল ও আমির ইয়ামিন।

দেশি সংগ্রহ: তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি, এনামুল হক বিজয়, মেহেদি হাসান, জিয়াউর রহমান, মোশাররফ হোসেন রুবেল, মোহাম্মদ শহিদ, সামসুর রহমান ও সঞ্জিত সাহা।

এ বিষয়ক আরো লেখা পড়তে পারেন:

বিপিএল দল পর্যালোচনা: ঢাকা ডায়নামাইটস

বিপিএল দল পর্যালোচনা: চিটাগং ভাইকিংস