মাঠে যাও আর সেরাটা দাও, সতীর্থদের বলছেন মাসাকাদজা

তিন ওয়ানডেতে তিন বড় হার। সঙ্গে আছে নূন্যতম পার্থক্যও গড়তে না পারার লজ্জা। এরপরও টেস্ট সিরিজের আগে উজ্জীবিত জিম্বাবুয়ে। কিভাবে? তা এক রহস্য বটে! আবার একই সাথে এটি জিম্বাবুয়ের অসহায়ত্ব প্রকাশের ধরনও হতে পারে; কোনো দল নিশ্চয় এ কথা বলতে পারে না যে, এই সিরিজটি আমরা হারতে যাচ্ছি! 

জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলে গত বছরের ডিসেম্বরে। ইতিহাসের প্রথম চারদিনের সে টেস্ট মাত্র দুদিনেই হেরে যায় তারা। এরপর আর টেস্ট ক্রিকেটে মাঠে নামা হয়নি হ্যামিল্টন মাসাকাদজার। এই দীর্ঘ বিরতিই নাকি অনুপ্রেরণা জুগাচ্ছে তাদের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে এ কথাই বলেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক মাসাকাদজা। শুক্রবার সিরিজ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট খেলি না। ছেলেদের অনুপ্রাণিত করা তাই সহজ। তাদেরকে এ কথা বলা সহজ যে- মাঠে যাও আর দেখিয়ে দাও নিজেদের সেরা খেলা। আমরা সবাই সুযোগ কাজে লাগাতে উন্মুখ হয়ে আছি।’

জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক যতোই তাদের উন্মুখতা প্রকাশ করুক না কেনো, শনিবার থেকে শুরু হওয়া সিরিজে তাদের ভালো কিছু করার সাধনযোগ্যতা আছে কি না, তা নিয়েই আছে বড় প্রশ্ন। পরিস্থিতিও একদম তাদের পক্ষে নেই।

শুধু মাত্র ওয়ানডে সিরিজের হারই যে জিম্বাবুয়ের ভালো কিছু করার সাধনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তা কিন্তু নয়; সিলেটে কখনো না খেলার অনভিজ্ঞতাও তাদের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে অদৃশ্য ‘ব্যারিকেড’। যা ডিঙিয়ে তাদের স্মরণীয় কিছু করার শুধু কঠিনই নয়, রীতিমত অসম্ভবের কাছাকাছি।

টেস্ট সিরিজ খেলতে নামর আগে জিম্বাবুয়ে অবশ্য একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেই খেলাটা ছিলো কেবল নামেই। টেস্ট সিরিজের মাঠে নামার আগে তা নিয়ে আক্ষেপই ঝড়লো জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের কণ্ঠে।

মাসাকাদজা বলেন, ‘আশা করছি আমরা এখানে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবো। যদিও কেবল কয়েকটি অনুশীলন সেশনের অভিজ্ঞতা নিয়েই আমাদের খেলতে হচ্ছে। এটা কঠিন কাজ। যে প্রস্তুতি ম্যাচটি আমরা পেয়েছিলাম, বৃষ্টির কারণে তা খুব বেশি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।’

একই সঙ্গে মাসাকাদজার কণ্ঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘ভিন্ন কিছু’ করার দৃঢ়তা ছিলো। ইতিহাস বলছে, এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয়েছে। তাতে ছয় নিয়ে এখনো এগিয়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের জয় পাঁচটি। বাকি তিনটি ম্যাচে কোনো ফল হয়নি। মাসাকাদজার কণ্ঠের দৃঢ়তা যতোই সুদৃঢ় হোক না কেনো, পরিস্থিতি যে পক্ষে নেই, সেটা নিশ্চয় অজানা নায় জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের কাছে!