জিম্বাবুয়ের লড়াইয়ের পরও দিনটা বাংলাদেশেরই

সিলেট টেস্টের প্রথম দিন শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৩৬ রান। খুব বড় কিছু নয়। আবার একেবারে ফেলনাও নয়। বিশেষ করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সামনে একেবারে দাঁড়াতে না পারা দলটি যে সারা দিন কাটিয়ে দিবে মাত্র পাঁচ উইকেট হারিয়েছে, সেটাই বরং কিছুটা অবিশ্বাস্য। জিম্বাবুয়ের এই লড়াইয়ের পরও অবশ্য সিলেটের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনটা বাংলাদেশেরই।

প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। কিন্তু ৪৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম দুটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যার ৩৮ রানে আট উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে।

শুরুর দিকে তাইজুলের ঘূর্ণিতে বেসামাল জিম্বাবুয়ের মনে কি সেই স্মৃতি কিছুটা হলেও উঁকি দিয়েছিলো? দিতেই পারে। কারণ এরপর সারা দিন হাত ঘুরিয়েও যে আর একটা উইকেটের দেখা পাননি তাইজুল! জিম্বাবুয়ের পতন হওয়া বাকি তিন উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন আবু জায়েদ রাহী, অভিষিক্ত স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

প্রথম দিন সফলতম ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস। তিনি ৮৮ রান করেন। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান ক্রমেই এগোচ্ছিলো সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু হঠাৎ মাহমুদুল্লাহ বোলিংয়ে এসে তাকে বিদায় করেন। এ ছাড়া ৫২ রান করেন মাসাকাদজা। তাকে শিকার করেন আবু জায়েদ রাহী। এর আগে সিলেটের স্থানীয় এই পেসারের বলেই শুরু হয় সিলেট টেস্ট।

প্রথম দিন জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় জুটি ছিলো পঞ্চম উইকেটে। যখন শন উইলিয়ামস এবং পিটার মুর ৭২ রান যোগ করেন। উইলিয়ামসকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

এর আগে আকরাম খানের ঘণ্টা বাজানের মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত অঙ্গনে নাম ওঠে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের। ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটির গ্যালারি ভরে উঠবে বলেই প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু ম্যাচের প্রথম দিন গ্যালারির বেশিরভাগ অংশই ফাঁকা পড়ে ছিলো।

তারপরও দর্শকরা এই ম্যাচে দারুণভাবে আলোচনায় ছিলেন। বিশেষ করে একটি ছোট্ট কিশোর। যে খেলার মাঝখানে ঢুকে পড়ে মাঠে। ভোঁ দৌড়ে চলে যায় মুশফিকুর রহিমের কাছে। মুশফিকও কয়েক মুহূর্তের জন্য আলিঙ্গনে বেধে রাখেন ওই কিশোরকে।

সিলেটবাসীর জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই টেস্ট। তবে ওই কিশোরের অনুভূতির সঙ্গে নিশ্চয় তাদের তুলনা চলবে না!