আপনি পড়ছেন

পুলিশের অর্ধ শতাধিক শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে তাদের বদলি চেয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওই কর্মকর্তাদের বদলি প্রয়োজন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ৭০ জনের অধিক পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা দেয় দলটি।

bangladesh police logo

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে পৌঁছে দেয়।

এ সময় আলাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ তালিকায় পুলিশ সুপার, বিশেষ শাখার পুলিশ কর্মকর্তা, ডিআইজি, এডিশনাল ডিআইজি এবং এআইজি পদধারী ৭০ জনের বেশি কর্মকর্তার নাম আছে।’

moajjem hosen alal

সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তারা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর যেসব কর্মকাণ্ড আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল এমন কাজের সঙ্গে এই কর্মকর্তারা জড়িত। আবার কেউ পূর্বেও এমন কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাই তারা নির্বাচনের সময় হুমকি হয়ে উঠতে পারে -এ বিবেচনায় দালিলিক প্রমাণসহ ইসির কাছে দিয়ে এর প্রতিকার চেয়েছি।’

ঐক্যফ্রন্ট যে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, তার মধ্যে পুলিশ সদর দফতর, ডিএমপিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের অতিরিক্ত আইজিপি, ডিজি, ডিআইজি, কমিশনার ও ডিসি পদমর্যাদার ৩৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। বাকি ৩১ জন পুলিশ সুপার পদে কর্মরত।

পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা হলেন— পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান (নিজ জেলা জামালপুর), ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান (গোপালগঞ্জ), ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন (কিশোরগঞ্জ), ডিআইজি (ট্রেনিং) ড. খ মহিদ উদ্দিন (বরিশাল) ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান (যশোর)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মকর্তারা হলেন— ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া (নিজ জেলা ফরিদপুর), ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম (গেপালগঞ্জ), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) মীর রেজাউল আলম (মাগুরা), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) কৃষ্ণপদ রায় (হবিগঞ্জ), অতিরিক্ত কমিশনার (ডিআইজি) আব্দুল বাতেন (সুনামগঞ্জ), যুগ্ম কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) শেখ নাজমুল আলম (নড়াইল), যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম (কুমিল্লা), ডিসি (তেজগাঁও) বিপ্লব কুমার সরকার (কিশোরগঞ্জ), ডিসি হারুন অর রশিদ (কিশোরগঞ্জ), ডিসি (রমনা) মো. মারুফ হোসেন সরদার (খুলনা), ডিসি (ডিবি, উত্তর) খন্দকার নুরুন নবী (মাগুরা), ডিসি এস এম মুরাদ আলী (গোপালগঞ্জ), এডিসি শিবলী নোমান (গোপালগঞ্জ) ও সিটিটিসি ইউনিটের ডিসি প্রলয় কুমার জেয়ার্দার (নেত্রকোনা)।

এর বাইরে র‌্যাবের মহাপরিচালক ডিজি (অতিরিক্ত আইজিপি) বেনজীর আহম্মেদ (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), টেলিকম ইউনিটের অ্যাডিশনাল আইজিপি মো. ইকবাল বাহার (পাবনা), নৌপুলিশের ডিআইজি শেখ মো. মারুফ হাসান (খুলনা), পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (সিটিএসবি) মোহাম্মদ আলী মিয়া (গোপালগঞ্জ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসএস (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম (নড়াইল) ও সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি আলতাফ হোসেনের (পাবনা) প্রত্যাহারও চেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

পুলিশের তালিকায় আছেন পাঁচ রেঞ্জের ডিআইজি ও তিন রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি। তারা হলেন— সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান (নিজ জেলা চাঁদপুর), চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (টাঙ্গাইল), খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. দিদার আহম্মেদ (গোপালগঞ্জ), রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন (গোপালগঞ্জ) ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য (মৌলভীবাজার) এবং খুলনা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলাম (নিজ জেলা ময়মনসিংহ), সিলেট রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র (খুলনা) ও ঢাকা রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান মিয়া (মাদারীপুর)।

এছাড়া খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় কর্মকর্তাও রয়েছে ঐক্যফ্রন্টের তালিকায়। তারা হলেন— খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) হুমায়ুন কবির (নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) মাহবুবুর রহমান রিপন (জামালপুর), রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ডিআইজি) হাফিজ আক্তার (গাজীপুর), রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির (রাজবাড়ী), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি এস এম মেহেদী হাসান (খুলনা) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মো, ফারুকুল হক (সিরাজগঞ্জ)।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে কর্মরত ছয় ছয় কর্মকর্তা। তারা হলেন— ঢাকার এসপি শাহ মিজান শফি (নিজ জেলা নাটোর), নারায়ণগঞ্জের এসপি মো. আনিসুর রহমান (গোপালগঞ্জ), মুন্সীগঞ্জের এসপি মো. যায়েদুল আলম (মাদারীপুর), নরসিংদীর এসপি মিরাজ (পটুয়াখালী), টাঙ্গাইলের এসপি সঞ্জিত কুমার রায় (সুনামগঞ্জ) ও মাদারীপুরের এসপি সুব্রত কুমার হাওলাদার (বাগেরহাট)।

তালিকায় ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলার পুলিশ সুপার হলেন— ময়মনসিংহের এসপি শাহ আবিদ হোসেন (নিজ জেলা বাগেরহাট) ও শেরপুরের এসপি আশরাফুল আজিম (ঝিনাইদহ); সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার এসপি মো. মনিরুজ্জামান (পটুয়াখালী); বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার এসপি সাইফুল ইসলাম (পাবনা) ও ভোলার এসপি মোক্তার হোসেন (পটুয়াখালী) এবং রংপুর বিভাগের রংপুর জেলার এসপি মিজানুর রহমান (জামালপুর), দিনাজপুরের এসপি সৈয়দ আবু সায়েম (ফরিদপুর) ও ঠাকুরগাঁওয়ের মনিরুজ্জামান (কুষ্টিয়া)।

বিএনপির তালিকায় খুলনা বিভাগের ছয় জেলার এসপি রয়েছেন। তারা হলেন— খুলনার এসপি এস এম শফিউল্লাহ (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), সাতক্ষীরার এসপি মো. সাজ্জাদুর রহমান (ঝিনাইদহ), বাগেরহাটের এসপি পংকজ চন্দ্র রায় (লালমনিরহাট), যশোরের এসপি মঈনুল হক (পটুয়াখালী), ঝিনাইদহের এসপি (হাসানুজ্জামান) ও কুষ্টিয়ার এসপি আরাফাত তানভীর (বাগেরহাট)।

তালিকার চট্টগ্রাম বিভাগের চার জেলার এসপিরা হলেন— চট্টগ্রামের এসপি নূরে আলম মিনা (নিজ জেলা গোপালগঞ্জ), নোয়াখালীর এসপি ইলিয়াস শরীফ (ফরিদপুর), ফেনীর এসপি এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার (পাবনা) ও কুমিল্লার এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।

রাজশাহী বিভাগের সাত জেলার এসপিদেরও প্রত্যাহার দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট। তারা হলেন— রাজশাহীর এসপি মো. শহিদুল্লাহ (নিজ জেলা শেরপুর), চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি মোজাহিদুল ইসলাম (গাজীপুর), নওগাঁর এসপি ইকবাল হোসেন (পাবনা), নাটোরের এসপি সাইফুল্লাহ (নেত্রকোনা), বগুড়ার এসপি আশরাফ আলী (নেত্রকোনা), সিরাজগঞ্জের এসপি টুটুল চক্রবর্তী (লক্ষ্মীপুর) ও পাবনার এসপি রফিক ইসলাম (গোপালগঞ্জ)।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.