নভেম্বর মাসেই ঢাবির চার শিক্ষার্থীর আত্মহনন

কমবয়সী এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একের পর এক অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনা সহপাঠী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত নানা কারণে ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আর নভেম্বর মাসেই আত্মহত্যা করেছেন চারজন।

সর্বশেষ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী হুজাইফা রশিদ। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হুজাইফা টঙ্গিতে তার নিজ বাড়ির কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

ঢাবির এই মেধাবী শিক্ষার্থীর আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, ‘ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টা বলতে পারছি না। তবে হুজাইফা তার একাডেমিক লাইফ নিয়ে হতাশ ছিলো। আমরা তাকে অনেকবার বুঝিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে আত্মহত্যা করে বসলো।'

জানা গেছে, হুজাইফার ভাই চট্টগ্রাম থেকে আসলে তার লাশ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. গোলাম রব্বানী বলেন, 'শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। আত্মহত্যা প্রতিরোধে কর্মশালা করলাম সম্প্রতি এরমধ্যে এমন খবর।'

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। আত্মহত্যার বিষয়ে প্রতিটি বিভাগের ক্লাস প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসবো। যারা হতাশ, তাদের বলবো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তারা যেন অন্তত একবার আমাদের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে।'

সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মেহের নিগার দানি ১৬ নভেম্বর দুপুরে যশোরের নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে ১৪ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা করেন ঢাবি অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী লায়লা আঞ্জুমান ইভা। আর ১২ নভেম্বর বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ফাহমিদা রেজা সিলভি আত্মহত্যা করেন।