আপিল করেছেন বিএনপির সেই চার প্রার্থী

মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া বিএনপির চার প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস জানিয়েছেন, সোমবার তিনজন ও মঙ্গলবার একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনে এই আপিল করেন। এর আগে গত রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়।

তারা হলেন- মানিকগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পদত্যাগ করা দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক, মানিকগঞ্জ-২ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান ও পদত্যাগ করা সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান খান এবং মানিকগঞ্জ-৩ আসনের পদত্যাগ করা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। এছাড়া ঋণখেলাপীর অভিযোগে মানিকগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল মান্নানের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় আবিদুর রহমান খান, আতাউর রহমান ও তোজাম্মেল হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া দলীয় মনোনয়নপত্রে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে মিল না থাকায় মঈনুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এতে মানিকগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীতা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করা ওই তিন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। বিএনপির আরেক প্রার্থী মঈনুল ইসলাম খান এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার আপিল করেছেন।

আবিদুর রহমান খান ও আতাউর রহমান জানান, সোমবার তারা মনোনয়নপত্র বাতিলের বিপক্ষে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন। আপিলে তারা প্রার্থীতা ফিরে পাবেন বলে আশাবাদী।

তোজাম্মেল হকের বড় ভাই গোলাম ইয়াছিন জানান, তোজাম্মেল ঢাকার পল্টন থানায় নাশকতার মামলায় বর্তমান গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। ভাইয়ের পক্ষে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।

মঈনুল ইসলাম খান জানান, প্রার্থীতা ফিরে পেতে মঙ্গলবার তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন।

মানিকগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল মান্নানের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যে ব্যাংকে তার চাচাকে ঋণখেলাপী দেখানো হয়েছে। তিনি ঋণখেলাপী নন বলে ওই ব্যাংক সনদ দিয়েছে। ওই সনদ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বৈধতার জন্য আপিল করা হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস জানান, মনোনয়নপত্র বাতিলের বিপক্ষে করা আপিলের শুনানি আগামী ৬-৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আপিলের রায় প্রার্থীদের পক্ষে হলে তাদের প্রার্থীতা বৈধ হবে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।