ভোটে নেই বিএনপির যেসব হেভিওয়েট নেতা

নির্বাচনের মাঠে থাকলেও প্রার্থী হননি বিএনপির এক ডজনের বেশি পরিচিত মুখ। এসব নেতাদের কেউ একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত, আবার কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। গতকাল শুক্রবার ২০৬ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে বিএনপির এই হেভিওয়েট নেতাদের নাম নেই।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড হওয়া কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা আজই জানা যাবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায় আজ ঘোষণা করা হতে পারে। সেইসঙ্গে তার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও নির্বাচন করতে পারছেন না।

দলটির আরেক প্রভাবশালী নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও নির্বাচনে নেই। এর পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তিনি বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

বয়সের কারণ দেখিয়ে নির্বাচনে নেই স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার ও মাহবুবুর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া নির্বাচন করতে পারছেন না। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদও ভোটে নেই, তিনি এখন ভারতে অবস্থান করছেন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্রই জমা দেননি। ১০ বছর দণ্ডিত হওয়ায় ঢাকার প্রভাবশালী নেতা সাদেক হোসেন খোকা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তার বদলে তার ছেলে ইশরাক হোসেন নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিন সকালে তার মনোনয়ন বাতিলের কথা বলা হলেও বিকেলে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

একাধিক মামলায় সাজা হওয়ায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম পিন্টু, আহমদ আযম খান, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, ওসমান ফারুক এবং মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না।

দলের আরেক পরিচিত মুখ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। রিজভী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচন না আসায় তিনিও ভোটে নেই।

টকশো’র জনপ্রিয় মুখ দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং ঢাকার প্রভাবশালী নেতা হাবিব-ঊন নবী খান সোহেল মনোনয়ন সংগ্রহ করেও তা জমা দেননি। এদিকে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও কামরুল ইসলাম নির্বাচনে আসতে পারছেন না। একই কারণে নির্বাচন করতে পারছেন না দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং সাবেক সাংসদ আবদুল ওহাব ও আবদুল ওদুদ।