বিএনপির শীর্ষ নেতারা লড়বেন যেসব আসনে

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০৬ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এবারের নির্বাচনে প্রায় ডজন খানেক হেভিওয়েট নেতা নানা কারণে নির্বাচনের বাইরে আছেন। আবার কারো কারো মনোনয়ন ইসির সিদ্ধান্তের কারণে বাতিলের খাতায়। তারপরও ভোটের মাঠে এখনো টিকে আছেন বিএনপির বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা।

এবারের নির্বাচনে দলের শীর্ষ নেতা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত হয়তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেষ্টাও করেননি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লড়বেন তার জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ আসনেও তাকে প্রার্থী করা হয়েছে। শেখ পর্যন্ত যদি বিএনপি নেত্রী অংশগ্রহণ করতে না পারেন তাহলে ফখরুল দুই আসনেই নির্বাচন করবেন।

বিএনিপির প্রভাবশালী নেতা জাতীয় স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনও দুটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তাকে কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নোয়াখালী-৫ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। এখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২০০৮ সালে কাদেরের কাছে মাত্র ১৩০০ ভোটে হেরেছিলেন মওদুদ। এছাড়াও একাধিকবার ওবায়দুল কাদেরকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন এই বিএনপি নেতা।

ড. মঈন খান বিএনপির বিদেশনীতিটা দেখেন। দলের এই প্রভাবশালী নেতা লড়বেন নরসিংদী-২ আসন থেকে।

দলের ঢাকার প্রভাবশালী নেতা স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস লড়বেন ঢাকা-৮ আসন থেকে। তিনি একাধিকবারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ছিলেন।

ঢাকার আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা গয়েশ্বরচন্দ্র রায় লড়বেন ঢাকা-৩ আসন থেকে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রবীণ রাজনীতিক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন লড়বেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আলোচনার বাইরে ছিলেন। দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামেও জায়গা পাননি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন মহাজোটের প্রার্থী মাহি বি চৌধুরী।

বিএনপির অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান লড়বেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য না করায় চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ আল নোমান। কিছু দিনের জন্য বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়ও ছিলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করায় সেই কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন চৌধুরী পটুয়াখালী-১, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ভোলা-২, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ঝালকাঠি-১, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর-৩, নিতাই রায় চৌধুরী মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন।

আর শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন বৈধতা পেলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির হ্যাভিওয়েট প্রার্থী এম মোরশেদ খান। তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে নির্বাচন করবেন।