চট্টগ্রামের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন ম্যাথুস-মেন্ডিস

প্রথম ইনিংসে ৩১৯ রানে পিছিয়ে থেকে ২০ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলাটা হচ্ছে তাদেরই মাঠে, ওয়েরিংটনের বেসিন রিজার্ভে। ইনিংস পরাজয় ছাড়া অন্য কিছু কী আর ভাবা যায়! কিন্তু ইনিংস পরাজয়ের বড় শঙ্কা ঘাড়ে চেপে এগুতে এগুতে সেই শ্রীলঙ্কাই এখন লিড পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে!

অভাবনীয় কাজটা করে দেখালেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আর কুশল মেন্ডিস। ৩ উইকেটে ২০ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিলেন দুজন। তারপর নিজেদের গতিময় উইকেটে গতির ঝড় তুলেছেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা। স্পিন বিষ ছড়িয়েছেন এজাজ প্যাটেলরা। কিন্তু ম্যাথুস-মেন্ডিসকে কাবু করতে পারেননি।

৩ উইকেটে ২০ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কার স্কোর চতুর্থ দিন শেষে ২৫৯/৩! অর্থাৎ সারা দিন বোলিং করেও ম্যাথুস-মেন্ডিসকে আউট করতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। দিনের পুরো নব্বই ওভার ব্যাটিং করে অপরাজিত শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ইতিহাসে এই সারা দিনে উইকেট না পড়ার ঘটনা ঘটেছে মাত্র ২১ বার, যার সর্বশেষটা ঘটেছিল দশ বছর আগে বাংলাদেশে।

দশ বছর আগে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসে চট্টগ্রামে ওই কৃর্তি গড়ে দেখিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটসম্যান। টেস্টের প্রথম দিনে বিনা উইকেটে ৪১৫ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার গ্রায়েম স্মিথ ও বাংলাদেশের বর্তমান ব্যাটিং পরামর্শক নেইল ম্যাকেঞ্জি। প্রথম দিনে বিনা উইকেটে সেটা সর্বোচ্চ রান তোলার বিশ্বরেকর্ডও, যা এখন পর্যন্ত অক্ষত।

দশ বছর পর বেসিন রিজার্ভে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন ম্যাথুস-মেন্ডিস। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ছিল মাত্র ৩৭ রানে। মেন্ডিস-ম্যাথুসসহ হাতে এখনো সাত উইকেট। ইনিংস ব্যবধানে হারার শঙ্কা মাথায় নিয়ে টেস্টটা হয়তো ড্র'ই করছে শ্রীলঙ্কা!

সারা দিন ব্যাটিং করে ম্যাথুস ১১৭ রান করে অপরাজিত। ২৯৩ বল খেলে ১১টি চারের সাহায্যে এই রান করেছেন তিনি। মেন্ডিস অপরাজিত ১১৬ রানে। ২৮৭ বল খেলে ১২টি চারের সাহায্যে এই রান করেছেন তরুণ মেন্ডিস।