বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশের অভিযান, আতঙ্কে বিএনপি

ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমর্থক এবং দলটির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলটির কর্মীরা বলছে, হয়রানির এ অভিযানে তারা নতুন করে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে ভুগছেন। এ কারণে অনেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়ে নীরবে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতাকে আটকের পর অন্য নেতাদের ধরতে বাড়িতে গিয়ে হানা দেয়া হচ্ছে। ফলে নেতাকর্মীরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, গয়েশ্বরের নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা আবদুল জব্বারকে গত সপ্তাহে ঢাকার পল্টন থেকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে আটক করা হয় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ নিজামকে। ওই রাতে তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা খুরশেদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

মোজাদ্দেদ আলী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু পুলিশ বিএনপির লোকজনকে নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত হতে দিচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পুলিশই এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ।’

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু এবং বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তারা দুজনেই দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিপুর বাড়ি দোলেশ্বর এলাকায় এবং গয়েশ্বরের বাড়ি মির্জাপুর এলাকায়। প্রতিন্দ্বন্দ্বী এ দুই প্রার্থীর সুসম্পর্ক স্থানীয়দের মুখে মুখে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সম্পর্ক এখন প্রশ্নের মুখে।

এ বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি নির্বাচন করতে চাই। তবে মারামারি-সংঘাতে বিশ্বাস করি না। যতই ঘাত-প্রতিঘাত আসুক, শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে আছি এবং থাকব।’

অন্যদিকে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো থাকবেই। প্রার্থীরা নিজের মতো করে প্রচার-প্রচারণা করবেন, করছেন। তবে কখনো বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য পর্যন্ত হয়নি।’

এদিকে পুলিশি হয়রানির বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, ‘পুলিশের স্বাভাবিক অভিযান চলছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই।’