ফিরেই বিধ্বংসী রূপে আমির

মোহাম্মদ আমির ইনিংসের প্রথম বলটা ফেললেন অফস্ট্যাম্পের খানিকটা বাইরে, আউটসুইং করে যাওয়ার মুখে কোনো মতে ঠেকাতে পেরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ডিন এলগার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের সবাই কিন্তু এভাবে ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি আমিরকে। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে পাকিস্তানি পেসার প্রথম বল থেকেই বুঝিয়েছেন ‘দেওয়ার এখনো অনেক কিছুই বাকি আছে।’

সেঞ্চুরিয়ান টেস্টে নিজের প্রথম পাঁচ ওভার আমির যে বোলিংটা করলেন তা এক কথায় অসাধারণ, ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। গতির ঝড় আর সুইংয়ে পাকিস্তানি পেসারকে বুঝতেই পারেননি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। একটা সময় আমিরের বোলিং ফিগার ছিল ৫-৪-১-১। অর্থাৎ পাঁচ ওভার বোলিং করে মাত্র এক রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন ১ উইকেট (হাশিম আমলা)। পাকিস্তানি পেসার পাঁচ ওভারের মধ্যে চারটিতেই মেডেন আদায় করে নেন!

দুর্দান্ত বোলিং অব্যাহত রেখে শেষ পর্যন্ত নামের পাশে আরও তিন উইকেট যোগ করে নিয়েছেন। সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের প্রথম ইনিংস আমিরের বোলিং ফিগার ২০-৬-৬২-৪। প্রত্যাবর্তনটা বড্ড উজ্জলই হলো আমিরের।

‘প্রত্যাবর্তন’ কেনো বলা হচ্ছে অনেকেই হয়তো আন্দাজ করছেন। ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো এই আমিরের মধ্যে। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে সেই সম্ভাবনাকে নিজেই গলাটিপে খুন করেছেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরার পরও তাকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ফর্মটাও ভালো যাচ্ছিল না। একটা সময় এই ফর্মহীনতার কারণে মাস তিনেক ধরে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ফিরেছেন আমির। আর ফিরেই এমন দুর্দান্ত বোলিং করে দেখালেন।

আমিরের দুর্দান্তরূপে ফেরার দিনে উজ্জলতা ছড়িয়েছেন তরুণ শাহীন শাহ আফ্রিদিও। ৬৪ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন শাহীন। প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানে গুটিয়ে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিলো ১৮১ রান।