আশা জাগিয়েও পারল না পাকিস্তান

ডারবানে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ ফন ডুসেন ও অ্যান্ডিলে ফেলুখায়োর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আট ওভার বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। ২০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং ধসের পরও দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান ডুসেন ও ফেলুখায়ো। দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি।

টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়ে পাক বাহিনী। স্কোর বোর্ডে ৫৮ রান যোগ করতেই পাাঁচ উইকেট নেই পাকিস্তানের। ইমাম-উল-হক, ফখর জামানসহ টপ অর্ডারের সবাই ছিলেন ব্যর্থ। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মোহাম্মদ হাফিজ ফিরে গেছেন মাত্র ৯ রান করে।

রাবাদা, ওলিভিয়ের ও ফেলুখায়ো এই ত্রিমুখি তোপে ১১২ রানে ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে নবম উইকেটে ৯০ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ও হাসান আলি। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে মান বাঁচানো সংগ্রহ পেয়েছে অতিথিরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হাসান তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। ৪৫ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি বোলার।

ইনিংসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন হাসান। তার সঙ্গী সরফরাজ করেন ৪১ রান। একই ওভারে হাসান ও সরফরাজকে আউট করে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন ফেলুখায়ো। ৪৫.৫ ওভারে ২০৩ রানের মামুলি পুঁজি পায় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২২ রানে চার উইকেট শিকার করেছেন ফেলুখায়ো। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরির পুরস্কার হিসেবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। 

সামান্য ‍পুঁজি নিয়ে শুরুতেই লড়াই জমিয়ে তুলে পাকিস্তান। অতিথিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই ধস নামে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডারে। শাহিন আফ্রিদি সামনে দুমড়ে-মুচড়ে যায় স্বাগতিকদের টপঅর্ডার। রেজা হেনরিক্স, হাশিম আমলা ও ফ্যাফ ডু প্লেসি মিলে করেন মাত্র ২১ রান। দলীয় ৮০ রানে পাঁচ উইকেট হরিয়ে কঠিন চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। কিন্তু জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রত্যাবর্তনটা সুখের হয়নি। শুরুর ভয়াবহ ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নিয়েছেন ডুসেন ও ফেলুখায়ো। তারা দুজন মিলে উইকেটের লাগাম টেনে ধরেন।

ষষ্ঠ উইকেটে ফেলুখায়োকে নিয়ে ১২৭ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন ডুসেন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি বোলারদের হাতাশ করে অপরাজিত থেকেই উইকেট ছাড়েন এ যুগল। ডুসেনের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান এবং ফেলুখায়ো ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আফ্রিদি। বৃথাই গেছে তার দারুণ পারফরম্যান্স। আগামী শুক্রবার সেঞ্চুরিয়নে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে।