সাফল্য দেশিতে, ভরসা বিদেশিতে...

দেশীয় জিনিসের কদর সব সময়ই বেশি, সে আপনি মাছের বাজারে যান আর সবজির বাজারে। ‘ভাই দেশিটা হবে’ এমন কথা সচরাচরই শোনা যায়। কিন্তু বিপিএলের দিকে যদি নজর দেয়া যায় তবে দেখা যাবে এখানে দেশিদের ‘দাম নেই’।

বিদেশি মাঝারি মানের খেলোয়াড়দের কিনতে কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করতে দ্বিধা করে না দলগুলো। কিন্তু দেশীয়দের কিনতে গেলে চিন্তা থাকে ‘যত কমে পারা যায়’! শুধু খেলোয়াড় নয়, কোচদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তবে বিদেশিদের মতো গুরুত্ব না পেলেও দেশিরা কিন্তু খারাপ করছেন না। চলতি ষষ্ঠ বিপিএলে দেশিরাই তুলনামুলক বেশি সফল। বিশেষ করে বোলিং ডিপার্টমেন্ট আর কোচিংয়ের কথা চিন্তা করলে।

এখন পর্যন্ত বিপিএলের শীর্ষ পাঁচ উইকেটশিকারীই দেশীয় বোলার। দেশীয় ব্যাটসম্যানরা ‘রান পাচ্ছেন না’ ‘রান পাচ্ছেন না’ বলে রব উঠলেও সেরা পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন দু’জন বাংলাদেশি। আর কোচদের কথা চিন্তা করলে দেশিরাই সফল।

ষষ্ঠ বিপিএলের সাত দলের মধ্যে পাঁচটি দলই বিদেশি কোচ রেখেছিল। দেশি কোচের ওপর আস্থা রেখেছিল শুধু মাত্র দুই দল। ঢাকা ডায়নামা্ইটস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকার কোচের দায়িত্বে ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আর কুমিল্লার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। মজার ব্যাপার, যে দুটি দল দেশি কোচের উপর আস্থা রেখেছে তারাই চলতি বিপিএলের ফাইনালে!

টম মুডি, ওয়াকার ইউনুস, মাহেলা জয়াবর্ধনের মতো হাই কোয়ালিটির কোচকে দেখা গেছে এবারের বিপিএলে কোচিং করতে। কিন্তু নিজ নিজ দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিদেশি কোচরা।