‘স্যার ছেলেটাকে একটা সুযোগ দেন’ তামিমের এই কথাতেই ...

ষষ্ঠ বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৬৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভালোভাবেই এগুচ্ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু এনামুল হক বিজয় আউট হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই যেন চাপে পড়ে যায় দলটি। রংপুরে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তখন মনে হচ্ছিল ‘পারবে তো কুমিল্লা’। কিন্তু শামসুর রহমান চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে সেই শঙ্কা এক ঝটকাতে ছুড়ে ফেলেছেন।

মাত্র ১৫ বলে ৩৪ রানের টর্নেডো এক ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে ফাইনালে তুলে দেন শামসুর। শুধু কোয়ালিফায়ারে নয়, পুরো টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকবার তাকে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে দেখা গেছে। কুমিল্লার অন্তত পাঁচটি জয়ে তার ছিল সরাসরি অবদান। সব মিলিয়ে ৩৫ গড় আর ১৩৬.৩৬ স্ট্রাইক রেটে শামসুর এখন পর্যন্ত রান করেছেন ২১০।

একটা সময় নিয়মিত জাতীয় দলে খেলা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের এভাবে ফিরে আসার বড় কৃতিত্ব কিন্তু তামিম ইকবালের। বিপিএলে প্লেয়ার ডাফটে খুব বেশি আলোচনায় ছিলেন না শামসুর। তামিম ইকবালের সুপারিশে তারপরও দল পান। শামসুরকে দলে নেওয়ার জন্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে অনুরোধ করেন তামিম। তামিম অনুরোধ ফেলেননি সালাউদ্দিন। তাতেই নিজেকে এভাবে ফিরে পাওয়া শামসুরের।

আজ একাডেমি মাঠে গল্পটা নিজের মুখেই শোনালেন সালাউদ্দিন। কুমিল্লা কোচ বলেন, 'সে (শামসুর) যে সাফল্য পাচ্ছে, সেটা তার নিজের যোগ্যতায় করছে। সে সারা বছর অনেক সিরিয়াস ছিল। এর পুরো কৃতিত্ব আমি দেব তামিমকে। তামিমের কল্যানেই সে এই টিমে আসছে। প্রথমে আমি তাকে নিতে চাইনি। কিন্তু তামিম বলেছে, ‘স্যার ছেলেটা অনেক প্র্যাকটিস করছে, ওকে একটা সুযোগ দেন।’ ওর কারণেই শুভকে দলে নেওয়া। আর ব্যাট হাতে তার সাফল্যের পেছনে আমি মনে করি তার নিজের অবদান বেশি।'

সালাউদ্দিন মনে করেন আবারও জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ আছে শামসুরের, 'সে যদি ক্রিকেট নিয়ে আরেকটু সিরিয়াস হয়, তার এখনও সুযোগ আছে জাতীয় দলে ফিরে আসার। সে ফ্রি স্ট্রোক প্লেয়ার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সে চাপ নিতে পারে। তাকে আমরা যে পজিশনেই খেলিয়েছি, সেখানেই সে সফল হয়েছে। সে কার্যকর একজন ক্রিকেটার। পরবর্তীতে সে কিভাবে এগোবে, সেটা তার ওপরই নির্ভর করবে।'