বসন্ত এসে গেছে...

প্রকৃতিজুড়ে লাল-হলুদের মাখামাখী, আলোর সঙ্গে রঙের খেলা, এ যেন বসন্তের, ফাগুনের মেলা। হ্যা, বসন্ত এসে গেছে...! তাই দক্ষিণা দুয়ারে বইছে মাতাল হাওয়া। পলাশ ও শিমুলের মাঝে ফুটেছে হলুদ গাঁদা ফুল। দূরে বসে কোকিল গাইছে ঋতুরাজ বসন্তের জয়গান, ভ্রমর গুঞ্জনে ফাল্গুনের ব্যঞ্জনা।

আজ বসন্তের প্রথম দিন, পহেলা ফাগুন। তাই প্রকৃতির মাঝে এই বর্ণিল সাজ। প্রকৃতির রঙ ছড়িয়ে গেছে প্রাণে প্রাণে। শীতের বিবর্ণতা মুছে সর্বত্র উষ্ণতার দ্যোতনা। বাজিছে নতুনের বার্তা, যৌবনের গান। এই উচ্ছ্বাসের আনন্দবানে শুভ মুক্তির পয়গাম আসবে, আসবেই।

বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনটিকে ‘পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে ‘বসন্ত উৎসব’ নামে প্রথম পালিত হলেও পরে তা জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করে আসছে।

বসন্তের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফাগুনের রেশ চোখে পড়ার মোত। এছাড়া মুঠোফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটারে এবং কর্মক্ষেত্রেও বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত...।’

বসন্ত বরণে বর্ণিল আয়োজনের মধ্যে রয়েছে- বসন্তের নাচ, গান, কবিতা ও আবৃত্তি, আয়োজন করেছে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। থাকছে বসন্ত শোভাযাত্রা, আবির ও ফুলের প্রীতিবন্ধনীও। এ অনুষ্ঠান চারুকলা অনুষদের বকুলতলা, শিল্পকলা একাডেমি, বাহাদুরশাহ পার্ক, লক্ষ্মীবাজার ও রবীন্দ্রসরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।