ম্যানইউতে ফার্গুসনের অন্যরকম ফেরা

কয়েক বছর আগেই ইংলিশ ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। সেই দলটিই গত কয়েকটি মৌসুম ধরে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। ইংলিশ লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটির উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের টিকিট না পাওয়ার অভিজ্ঞতাও তো হয়েছে এর মধ্যে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই দুরাবস্থার নেপথ্য কারণ প্রধান কোচ। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর থেকেই হারিয়ে যেতে শুরু করে রেড ডেভিলসরা। ম্যানইউকে কুড়িতম লিগ শিরোপা জিতিয়ে নির্বাসনে চলে যান কিংবদন্তি স্কটিশ কোচ।

২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়ার পর ফার্গুসন কয়েকজন নামিদামী কোচকেই দেখেছেন তার উত্তরসূরি হিসেবে। কিন্তু কেউ নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারছেন না। ব্যর্থ হয়েছেন ডেভিড ময়েস, লুইস ফন গাল, হোসে মরিনহোর মতো কোচরা। শেষজনকে এই মৌসুমের মাঝপথেই ছাঁটাই করেছেন ক্লাবকর্তারা।

পর্তুগিজ কোচকে অবশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ বলা যাবে না। কিন্তু এই মৌসুমের শুরুর দিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যা পারফরম্যান্স তাতে করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ক্লাবের কর্তাব্যক্তিরা। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ওলে গানার সুলশারের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।

নতুন কোচের অধীনে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পর হারের প্রথম স্বাদ পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাতে খুশি ক্লাবকর্তারা। তবু ডাগ আউট থেকে সরে দাঁড়াতে হচ্ছে সুলশারকে। সেটা স্থায়ীভাবে নয়, মাত্র একটা ম্যাচে ম্যানইউর ডাগ আউটে থাকবেন না।

ম্যাচটা অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক কোনো লড়াই নয়। স্রেফ চ্যারিটি একটা ম্যাচ। ‘ট্রেবল’ জয়ের দুই দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে বিশেষ এই ম্যাচের আয়োজন করেছে ইংলিশ ক্লাবটি। যার অধীনে এই ত্রিমুকুট জিতেছিল ম্যানইউ সেই ফার্গুসনকেই ডাগ আউটে ফিরিয়ে আনছেন ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। শুক্রবার ক্লাবের ওয়েবসাইটে খবরটি নিশ্চিত করেছে ম্যানইউ।

১৯৯৯ সালে ন্যু ক্যাম্পে ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরা হয়েছিল ম্যানইউ। ফার্গির দুর্দান্ত রণকৌশলের সুবাদে ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জিতেছিল রেড ডেভিলসরা। বিশ বছর পর আগামী ২৬ মে দুই দল ফের ফের মুখোমুখি হচ্ছে। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখ লিজেন্ডসের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানইউর কোচের ভূমিকায় ফিরবেন ফার্গুসন।