অবিশ্বাস্য এমবাপ্পে অপ্রতিরোধ্য পিএসজি

নেইমার ও এডিনসন কাভানির ইনিজুরি তাহলে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) জন্য শাপেবর হয়েই এসেছে? তা নয় তো কী! আক্রমণভাগের এই দুই অস্ত্রকে ছাড়াই যে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে পিএসজি। তাদের এই দুর্দান্ত রথযাত্রার প্রধান সারথি কিলিয়ান এমবাপ্পে।

রীতিমতো অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছেন ফ্রেঞ্চ সেনসেশন। প্রতি ম্যাচে গোল করবেন এটা যেন এক প্রকার নেশায় পরিণত করে ফেলেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সেরা তরুণ। শনিবার ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে আবারো গোল করেছেন এমবাপ্পে। একবার নয়, এদিন দুবার জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন তিনি।

এমবাপ্পের জোড়া গোলের সুবাদে পিছিয়ে পড়েও কানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পিএসজি তো ধরে রেখেছে বটেই, শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে তারা। ২৬ ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট পিএসজির। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিলেঁর সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান এখনই ২০!

গত বছরের আগস্টে মৌসুমের শুরুর দিকে কানকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখার যাত্রা শুরু করেছিল পিএসজি। সেই দলটাকেই এবার হারাতে বেগ পেতে হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। কারণ এদিন যে গোলপোস্ট প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল পিএসজির!

বারবার গোলবঞ্চিত হওয়া পিএসজি দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার গোল হজম করে বসে। নিঙ্গার গোলে ৫৬ মিনিটে লিড নেয় অবনমন অঞ্চলে ধুঁকতে থাকা কান। তিন মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে পিএসজিকে সমতায় ফিরিয়েছেন এমবাপ্পে। ৮৭ মিনিটে ফরাসি স্ট্রাইকার দারুণ এক গোল করে ম্যাচের ভাগ্য পিএসজির পক্ষে গড়ে দেন। লিগের চলতি মৌসুমে এটা এমবাপ্পের ২৪তম গোল (সর্বোচ্চ)।

অথচ এমন ভাগ্যবিমুখ ম্যাচের ৭২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে খেলেছে পিএসজি। টমাস টুখেলের দল আক্রমণ করেছিল ২৫টি! যদিও পিএসজির আক্রমণ শুধু কানের বিপদসীমায় আতঙ্কই ছড়িয়েছে। ভাগ্য খারাপ হওয়ায় তিনবার গোল পায়নি টুখেলের পিএসজি।

শুরুর বাঁশির চার মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারতো অতিথি দলটি। কিন্তু সেটা হয়নি গোলপোস্টের বাধায়। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার দুর্দান্ত ক্রসে লেভিন কুরজাওয়া যে ভলিটা নিয়েছিলেন সেটা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৩৩ মিনিটে ফুটবলবিধাতা আবারো হতাশ করেছে পিএসজিকে।

এবার মার্কুইনহসের হেড ফিরে আসে কানের ক্রসবারের নিচে প্রতিহত হয়ে। এবারো গোলের সুযোগটা তৈরি করেছিলেন আর্জেন্টাইন উইঙ্গার ডি মারিয়া। ৬১ মিনিটে তৃতীয়বার পিএসজির সঙ্গে বেরসিক আচরণ করে কানের গোলপোস্ট। এবার নিজেই ভুক্তভোগী ডি মারিয়া! এভাবে বারবার গোলপোস্ট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ম্যাচটা হতে পারতো আর্জেন্টাইন তারকার।