করের আওতায় আনা হচ্ছে বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের আয়। স্থানীয় সংস্থাগুলোর ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠানগুলোর বাৎসরিক আয়ের ওপর তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এনবিআর)।

digital advertisement

এসব প্রতিষ্ঠানকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের আওতায় আনতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া এনবিআর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাসিক তথ্য সংগ্রহ করছে যার মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে গত পাঁচ বছরে বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে কত টাকা বিদেশে গিয়েছে এবং কি পরিমাণ ভ্যাট ও আয়কর সংগ্রহ করা হয়েছে তার পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। এনবিআর এর বিশেষ কমিটির সাম্প্রতিক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের খরচ ও সে উদ্দেশ্যে অর্থের লেনদেন, ভ্যাট ও আয়কর সংক্রান্ত মাসিক তথ্য পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও বিশেষ কমিটিতে বাংলাদেশ অর্থ সংক্রান্ত গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) একজন প্রতিনিধিকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি অনলাইন কেনাকাটার ক্ষেত্রে কঠোর হতে সকল ব্যাংকে নির্দেশ দিয়েছে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্রয় ও বিজ্ঞাপনের জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট কেটে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এনবিআর এর অনুরোধ অনুসারে সম্প্রতি এ পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও নীতি বিভাগ।

মোবাইল ফোন অপারেটর, ভোগ্যপণ্য সংস্থা, রাইড শেয়ারিং ও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য ডিজিটাল সেবা সংস্থাসহ বেশিরভাগ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিজ্ঞাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে। এই ব্যয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেশ কিছু ডিজিটাল সংস্থা ইতিমধ্যে তাদের ব্যবসার অনেক প্রসার ঘটিয়েছে।

এক রিট আবেদনের জবাবে সাম্প্রতিক বছরে তাদের আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ মূল্যায়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন এবং ২৫ জুনের মধ্যে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সরকারকে আদেশ দেয় আদালত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে নতুন কর আদায়ের পরিকল্পনা করছে। গত বছর ২১ মার্চ ইউরোপীয় কমিশন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন করলে বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ শতাংশ কর সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়।

২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিকদের সমিতি (নোয়াব) অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এনবিআর এর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্রমশ বৃদ্ধি নিয়ে তাদের ক্ষোভের কথা জানায়। নোয়াব জানায়, ফেসবুক ও গুগল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করছে কিন্তু তারা কোন কর পরিশোধ করছে না।

বাংলাদেশে ওই দুটি জায়ান্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কোনো কার্যালয় নেই। যার ফলে তারা বাংলাদেশের আইন-কানুনের আওতায় থাকছে না। কিন্তু যেকোনো দেশে ব্যবসা করার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা প্রয়োজন।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় করের আওতায় আনতে, এনবিআর চলতি অর্থবছরে ‘বিজ্ঞাপন আয় বা ডিজিটাল মার্কেটিং’ এর ওপর ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কর আদায় করছে। এছাড়া ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানে দেয়া বিজ্ঞাপন বিলের ওপর বিজ্ঞাপনদাতাদেরও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.