রাসেল ঝড়ে এলোমলো সাকিবরা

জয়ের জন্য শেষ ওভারে কলকাতার লাগত ১৩ রান। পেসর বিজয় শঙ্কর তখন ফাঁকাই ছিলেন। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ভুবনেশ্বর কুমার হয়তো বাজি খেলতে চাইলেন! বল তুলে দেন স্পিনার সাকিব আল হাসানের হাতে। ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করা আন্দ্রে রাসেলকে থামাতে পারলেও তরুণ শুভমান গিলের বিপক্ষে সফল হতে পারেননি বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

প্রথম বল ওয়াইড করার পর সাকিবের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে নেন রাসেল। পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন গিল। ওভারের তৃতীয় বল ডট হওয়ার পর চতুর্থ বলে আরেকটা ছক্কা হাঁকিয়ে কালকাতার দুর্দান্ত এক জয় নিশ্চিত করেছেন ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ক্রিকেটার।

শুভমান শেষ ওভারে সাকিবকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করলেও কলাকাতার জয়ের আসল নায়ক কিন্তু আন্দ্রে রাসেল। একটা সময় মনে হচ্ছিল হায়দরাবাদের জয়টা সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১৭ ওভার শেষে কলকাতার স্কোর ছিল ১২৯/৪, অর্থাৎ জয়ের জন্য প্রতি ওভারে লাগত ১৭.৬৬ রান।

পর্বতসম এই সমীকরণ পরে মিলিয়ে ছেড়েছেন রাসেল। প্রথম ৭ বলে ৯ রান করা ক্যারিবীয়ান তারকা তার পরের ১২ বলে করেছেন ৪০ রান, ভাবা যায়! এভারেস্ট সমীকরণ পরিয়ে কলকাতা জয় পেলো তাতেই। ১৯.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৮৩ রান তুলে ফেলে কলকাতা। আইপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটির পক্ষে এর আগে ৪৭ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন ওপেনার নিতিশ রানা।

সাকিব বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত ৩.৪ ওভারে ৪২ রান খরচায় তার প্রাপ্তি এক উইকেট। ৩২তম জন্মদিনটা ভালো কাটল না বাংলাদেশি তারকার। রশিদ খান ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় পেয়েছেন ১ উইকেট। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৩ বলে ৮৫ রানের দারুণ এক ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তোলে হায়দরাবাদ। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ করেন বিজয় শঙ্কর।