শিক্ষা কর্মকর্তাকে খুশি করতে রাতে ছাত্রীদের নৃত্য

বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে এসে রাত্রিযাপন করা এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খুশি করতে ছাত্রীদের নাচিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। রাতের এমন আয়োজনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকসহ সচেতন এলাকাবাসী। সোমবার রাতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।

সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রধান শিক্ষকদের ত্রৈমাসিক সভা ও দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের সততা সংঘের সভায় অংশ নিতে আসেন পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন। এরপর নৈশভোজসহ রাত্রিযাপনের জন্য উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের মৌডুবি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানেই মূলত জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খুশি করতে রাতে নাচগানের আয়োজন করা হয়।

জানা গেছে, জেলা শিক্ষা অফিসারের আগমনে প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের তাৎক্ষণিকভাবে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে একটি কক্ষে ওই কর্মকর্তাকে খুশি করতে নাচগানের আয়োজন করা হয়। সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন, প্রস্তাবিত মৌডুবি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম টুকুসহ অন্যরা।

স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা অফিসারকে খুশি করতে এভাবে ছাত্রীদের দিয়ে নাচগান করানোটা ভালো কাজ নয়। এটা আমাদের দেশের সংস্কৃতি নয়। প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন খান জানান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্যারের আগমনে কয়েকটা ছেলেমেয়ে গান গেয়েছে। এটাকে অন্যভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, স্থানীয় বাচ্চাদের নিয়ে ছোট্ট একটা আয়োজন করা হয়েছে। এটা দোষ বা বেআইনি কিছু নয়। আয়োজনটা আমি করিনি। অনুষ্ঠানে আমি ছেলে-মেয়েদের দু/একটা উপদেশ দিয়েছি।