অবশেষে কঠিন শাস্তিই পেলেন নেইমার

নেইমারের শাস্তিটা অনুমিতই ছিল। শাস্তির মাত্রা কেমন হয় সেটাই ছিল উৎকণ্ঠার বিষয়। অবশেষে কঠিন শাস্তিই পেলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) স্ট্রাইকার। শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনকে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।

ইনজুরির কারণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে পিএসজির শেষ ষোলোর দুই লেগই মিস করেন নেইমার। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের ৩-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে রেড ডেভিলসরা। প্রথমবারের মতো নক আউট পর্বে দুই গোলের ঘাটতি পুষিয়ে ম্যানইউ উঠে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। সার্বিকভাবে ৩-৩ গোলে ড্র হলেও অ্যাওয়ে গোলে উৎড়ে যায় ইংলিশ জায়ান্টরা।

তবে ম্যাচের ফল ছাপিয়ে পাদ প্রদীপে উঠে এলো ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ম্যানইউর পেনাল্টি বিতর্ক। স্পট কিক থেকে গোল করে ইতিহাস গড়ে রেড ডেভিলসরা। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবস্থা ভিএআরের সহায়তায় পেনাল্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রেফারি। তার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে দেয় পিএসজিকে।

৭ মার্চ প্যারিসের গ্যালারিতে বসে ম্যাচটা দেখেছিলেন চোটাক্রান্ত নেইমার। চোখের সামনে নিজের দলের বিদায়ের হতাশা লুকাতে পারেননি তিনি। ক্ষুব্ধ ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিএআর ব্যবহারে রেফারিদের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি ম্যাচকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বাজে মন্তব্য করেন তিনি।

নেইমার বলেছিলেন, 'চারজন মানুষ যাদের ফুটবল সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। তারা আবার টেলিভিশনে ধীরেসুস্থে রিপ্লে দেখেন।' নেইমারের বলার ধরণটা ভালো লাগেনি উয়েফার কাছে। এর পরিণাম যে ভালো হবে না সেটাও আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। নেইমার শাস্তি পেলেন। নতুন মৌসুমে দলের পক্ষে প্রথম তিন ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ডি-বক্সে হ্যান্ডবল হয় প্রেসনেল কিম্পেম্বের। হ্যান্ডবলের সময় পিএসজি ডিফেন্ডার উড়ন্ত অবস্থায় ছিলেন। পেছন থেকে তার হাতে বল লাগে। নেইমারের প্রশ্ন ছিল- শূন্যে ভাসমান একজন ফুটবলার তখন তার হাত কী করবে?